• শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১
  • ||

শান্তর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়: পাপন

প্রকাশ:  ০২ জুলাই ২০২৪, ২২:২৫
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

১২ ওভার ১ বলে ১১৬ রান করতে পারলেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলতে পারতো নাজমুল হোসেন শান্তর দল। কিন্তু কঠিন সমীকরণ মাথায় রেখে যেভাবে ব্যাটিং করার প্রয়োজন ছিল, সেটা করতে পারেনি বাংলাদেশ। কারণ বাংলাদেশ দল দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পরই সেমিফাইনালের ভাবনা থেকে সরে আসে। তখন তাদের লক্ষ্য ছিল সান্ত্বনাসূচক জয়ের। সেই হিসেবও বাংলাদেশ মেলাতে পারেনি।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত এসে জানিয়েছিলেন, তিনি উইকেট হারানোর পরই সেমিফাইনালের পথ থেকে সরে আসে বাংলাদেশ দল। শান্তর এই বক্তব্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিস্তর সমালোচনা হয়। আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) বোর্ড মিটিং শেষে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও শান্তর এই বক্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।

শান্তর বক্তব্য নিয়ে বোর্ড সভাপতি বলেছেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলছি, ওর (শান্তর) এই কথার সঙ্গে আমরা একমত না। তার এই বক্তব্য কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ১২ ওভার পর্যন্ত (আফগানিস্তানের বিপক্ষে) আমাদের লড়াই করা উচিত ছিল। দেখলাম যে যখন রক্ষণাত্মক খেলার দরকার ছিল তখন মেরে খেলেছে। আর যখন মেরে খেলার দরকার ছিল তখন রক্ষণাত্মক খেলেছে।’

যদিও বোর্ড সভাপতির মনে হয়েছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল ১২ ওভারেই জয়ের চেষ্টা করেছে, ‘আমাদের অধিনায়ক বলেছে যে ৩ উইকেট পড়ার পর আমরা চেষ্টা করিনি। এটা কিন্তু গ্রহণযোগ্য না। কিন্তু আমি যতক্ষণ খেলা দেখেছি, ততক্ষণ এমনটা মনে হয় নাই। যতক্ষণ পর্যন্ত তাওহীদ হৃদয় ছিল ততক্ষণ ওরা চেষ্টা করেছে। মাহমুদউল্লাহ ও রিশাদও রশিদ খানকে ছয় মারতে গিয়ে আউট হয়েছে।’

সেন্ট ভিনসেন্টে আফিগানিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই সেমিফাইনাল খেলার দারুন সুযোগ পেতো বাংলাদেশ। কিন্তু ওই ম্যাচটিতে ১২ দশমিক ১ ওভারে ১১৬ রান করতে হতো বাংলাদেশকে। সেমিফাইনালে যাওয়ার চেষ্টা বাদ দিয়ে বাংলাদেশ স্লো ব্যাটিংয়ে জয়ের চেষ্টা করেছে। শান্তদের এমন পরিকল্পনায় হতবাক বিশ্ব ক্রিকেটের অনেকেই।

শান্তর বক্তব্যের সঙ্গে একমত না হলেও সেন্ট ভিনসেন্টের উইকেটে এই রান চেজ করা বেশ কঠিন বলেই মনে করেন বোর্ড সভাপতি, ‘টি-টোয়েন্টিতে এটা করা কোনও ব্যাপারই না। এটা আমি মেনে নিচ্ছি। কিন্তু ওই উইকেটে কেউ কি ওই রান করতে পেরেছে? অস্ট্রেলিয়াও তো আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে ওই উইকেটে। ওই কন্ডিশনটা সহজ ছিল না। কিন্তু ওরা (বাংলাদেশ ব্যাটাররা) চেষ্টা করেছে।’

পাপনের দাবি, ম্যানেজারের রিপোর্ট, কোচ ও অধিনায়ক রিপোর্ট পাওয়া গেলেই স্পেসিফিক্যালি উত্তর দেওয়া যেত, ‘আপনাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর স্পেসিফিক দিতে পারতাম যদি আমরা…ওদের সঙ্গে আমি কথা বলতে পারতাম। কারণ আজ বোর্ডে যাদের জিজ্ঞেস করেছি তারা কেউ জানে না। এখন আমি যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করি একটা ব্যাপারে…আপনি যদি বলেন…আপনি জানেন না, তাহলে আমরা কী করবো?’

বোর্ড সভাপতি আরও জানান, ‘বেসিক কিছু জিনিস, একটা হচ্ছে কোচের রিপোর্ট থাকে। সেটা চাওয়া হয়েছে যে কোনও সময় পেয়ে যাব। আরেকটা হলো টিম ম্যানেজারের রিপোর্ট থাকে। সেটাও আমরা পাইনি। এই দুটা পাওয়ার পরে আমরা কোচিং স্টাফ, অধিনায়কের সঙ্গে বসি। কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গেও বসি। তো এখন পর্যন্ত এগুলোর একটাও হয়নি। এখন দর্শক হিসেবে আমার যেটা মনে হয়েছে তা বললাম।’

বাংলাদেশ দল,নাজমুল হাসান পাপন,বোর্ড সভাপতি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close