• সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

হতাশার পর আশা দেখালেন তাসকিন

প্রকাশ:  ২৮ জুন ২০২৪, ১৫:৩২
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে শুক্রবার সকালে দেশের মটিতে পা রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। চোখে মুখে ভ্রমণক্লান্তি ছিল স্পষ্ট। সঙ্গে প্রাপ্তির খাতায় তেমন কিছু না থাকায় মুখে নেই চিরচেনা হাসি। বিমর্ষ মুখগুলো আড়াল হতে চাচ্ছিল বারবার। অধিনায়ক শান্ত, মাহমুদউল্লাহ, মাহেদী, জাকেররা বিমানবন্দরে বেশিক্ষণ ছিলেন না। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ।

এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং পারফরম্যান্স ছিল একেবারেই প্রত্যাশার বাইরে। রান খরায় ছিলেন প্রায় প্রত্যেক ব্যাটসম্যান। বোলাররা মুখ রক্ষা না করলে বাংলাদেশ সুপার এইটে উঠতে পারতো কিনা সেটা বিরাট প্রশ্নের। ব্যাটিং নিয়ে গোটা দল যে অস্তস্তিতে ছিল তা বোঝা গেল তাসকিনের কণ্ঠে, ‘ব্যাটিং বিপর্যয় যেটা, আসলে সত্যি বলতে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রে যখন খেলা হয়েছে, তখন কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ফেভার খুব কম ছিল। আপনারা যদি স্ট্যাট চেক করেন, অন্যান্য দেশের ব্যাটসম্যান, বড় বড় দলগুলোও স্ট্রাগল করেছে। ওখানে বোলারদের একটু অ্যাডভান্টেজ ছিল।’

‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার পর একটু ভালো উইকেটে খেলছি আমরা। কিন্তু তাও আসলে, এত লম্বা...কখনোই আমি ক্রিকেট খেলার পর, বাংলাদেশ দলের হয়ে শেষ ১০ বছর ধরে খেলছি, কখনো এরকম লম্বা সময় ব্যাটিংয়ে খারাপ দেখি নাই। আশা করি এটা দ্রুতই কাটিয়ে উঠবে।’ - যোগ করেন তাসকিন।

তবে বোলারদের পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত সিনিয়র এই পেসার। তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেন দারুণ পারফর্ম করায় খুশি তাসকিন। তার বিশ্বাস, নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়ে তারা অনেকদূর যাবেন, ‘‘অবশ্যই (ওরা ভালো)। মাশাআল্লাহ, তানজিম সাকিব, রিশাদ এরা সেরা পাঁচ উইকেটশিকারীর মধ্যে ছিল। রিশাদ এখনও আছে। ওভারঅল ভালো করছে। এটা খুব পজেটিভ সাইন বাংলাদেশ থেকে ফিউচার স্টাররা উঠে আসবে। অলরেডি বিশ্বকে বোঝানো হয়েছে যে আমাদের সবার মধ্যে ডিফারেন্ট অ্যাবেলিটি আছে।’

বোলিং ইউনিটের সামগ্রিক চিত্র নিয়ে তাসকিনের ভাষ্য, ‘বোলিং ইউনিট আগাগোড়াই লাস্ট কিছু বছর ধরে ভালো উন্নতি করে আসছে। এবং সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখছে। আল্লাহর রহমতে সামনে আরও ভালো হবে। ভালোর তো শেষ নাই।’

ফলের ভিত্তিতে এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে বাংলাদেশ কখনোই বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচ জেতেনি। এবার শুধু জিতেইনি, দল গিয়েছিল সুপার এইটে। কিন্তু সুপার এইটে একটিও ম্যাচ জেতেনি বাংলাদেশ। সঙ্গে সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ হাতছাড়া হয়। সামনে ভালো করার প্রত্যাশায় বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সহ-অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা তাসকিন।

এই পেসার আরও বলেন, ‘দেখেন সত্যি কথা বলতে ভালোর তো কখনোই শেষ নাই। ধরেন আমরা আরও অনেক ভালো করতে পারতাম। বিশেষত শেষ ম্যাচটায় আমরা সবাই একটু হতাশ হয়েছি। আমরা জেতার চেষ্টাই করেছিলাম প্রথমে ১২ ওভারের মধ্যে, পরে যখন বুঝতে পারলাম সম্ভব না; তখন নরমালি ট্রাই করছিল সবাই। তাও জিততে পারি নাই।’

‘হ্যাঁ, ইতিবাচক সাইন আছে পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে বোলিং বেশ ভালো করেছে। সুপার এইটে উঠছি। সর্বপ্রথম এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা তিনটা জয় পেয়েছি। ইতিবাচক আছে, কিন্তু নেগেটিভের সংখ্যাটা একটু বেশি। আসলে সবার মতো আমরাও একটু হতাশ, প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো হয়নি।’- বলেছেন তাসকিন।

টি-টোয়েন্টি,বিশ্বকাপ,ক্রিকেট
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close