• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নিষিদ্ধ পগবার ক্যারিয়ার কি এখানেই শেষ?

প্রকাশ:  ০১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩০
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

আগামী চার বছর মাঠে দেখা যাবে না ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার পল পগবাকে। নিষিদ্ধঘোষিত ড্রাগ নেওয়ার দায়ে পগবাকে ক্লাব ও জাতীয় দলসহ সব ধরনের ফুটবলে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

৩০ বছর বয়সী পগবা ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় গত সেপ্টেম্বরে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইতালির “অ্যান্টি ডোপিং ট্রাইব্যুনাল” পগবার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার রায় দিয়েছে।

যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপিল করার কথাও জানিয়েছেন পগবা।

এরপরেও প্রশ্ন উঠছে এই নিষেধাজ্ঞার মাধমে পগবার ক্যারিয়ার কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটি নিয়ে। জুভেন্টাসের এই তারকা নিজেও নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি মানতে পারছেন না। তার ক্যারিয়ার কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।

রায়ের পর পগবা বলেছেন, “এই খবর শুনে আমার হৃদয় ভেঙে গেছে।” আদালতের রায়কে ভুল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

গত বছরের ২০ আগস্ট “সিরি আ”-তে উদিনেসের সঙ্গে ম্যাচের পর জুভেন্তাসের এই মিডফিল্ডারের ডোপ টেস্ট করা হয়। এতে পগবার শরীরে উচ্চমাত্রার টেসটোস্টেরোনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এরপর সেপ্টেম্বরে তাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। পরের মাসে এই ফুটবলারের “বি” নমুনার টেস্টের রিপোর্টও পজিটিভ আসে।

টেসটোস্টেরোন এমন এক হরমোন, যা অ্যাথলেটদের শক্তিবর্ধন করে। তবে যেই ম্যাচের পর পগবার ডোপ টেস্ট করা হয়েছিল সেই ম্যাচে পগবা খেলেননি, ছিলেন বেঞ্চে। ওই ম্যাচ জুভেন্তাস জিতেছিল ৩-০ গোলে।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছয় মৌসুম কাটানোর পর ২০২২ সালে ফ্রি ট্রান্সফারে পুরোনো ঠিকানা জুভেন্তাসে ফেরেন পগবা। তবে তুরিনের ক্লাবটিতে যাওয়ার পর একের পর এক চোটে খুব বেশি ম্যাচ তিনি খেলতে পারেননি।

২০১৮ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য পগবার বয়স এখন ৩০। আপিলেও যদি তার শাস্তি বহাল থাকে, তবে নিষেধাজ্ঞা শেষে তার বয়স হবে প্রায় ৩৫। একজনের ফুটবলারের ওই বয়সে গিয়ে আসলে তেমন কিছুই আর করার থাকে না। এ কারণে শাস্তির পর থেকেই পগবার ক্যারিয়ার নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ক্রীড়াভিত্তিক গণমাধ্যমগুলো এরইমধ্যে পগবার ক্যারিয়ার থমকে গেল কিংবা শেষ- এমনটাই জানাচ্ছে।

মাত্র ছয় বছর বয়সে ফুটবলে ক্যারিয়ার শুরু হয় পগবার। শুরুটা হয়েছিল ফ্রান্সের ইউএস রইসি-এন-ব্রি ক্লাবে। এরপর বেশ কয়েকটি ক্লাব ঘুরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বয়সভিত্তিক দলে যোগ দেন পগবা।

২০১১ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মূল দলে সুযোগ পান। নৈপুণ্য দেখিয়ে নজর কেড়েছিলেন ফুটবল ভক্তদের। দলবদলের ফাঁকে আরও একবার গিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। সেখানে দুই দফায় মোট ৮ মৌসুম কাটিয়েছেন। আর জুভেন্টাসে দুই দফায় মোট ৬ মৌসুম কাটানো পগবার ক্লাব ক্যারিয়ার অনেকটাই উজ্জ্বল। সময়ের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারদেরও একজন তিনি।

অর্জনের মধ্যে পগবা “সিরি আ” জিতেছেন চারবার। ইউরোপা লিগ, লিগ কাপ ও কোপা ইতালিয়াও জিতেছেন। ২০১৩ সালে ফ্রান্সের জার্সিতে অভিষিক্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৯১ ম্যাচে ১১ গোল করেছেন পগবা। আর ২০২৮ বিশ্বকাপ তো ছুঁয়ে দেখেছেনই।

খেলা,ফুটবল,ফ্রান্স
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close