• শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

দুই দফায় তামিমের দুটি ভুল দেখছেন মাশরাফি

প্রকাশ:  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:৫৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

তামিম ইকবাল বিশ্বকাপ দলে নেই। তার দায় কার? কারও চোখে সেটা সাকিব আল হাসানের, কারও চোখে তামিমের নিজের অভিমানী মনোভাবের। কারও চোখে কোচ হাথুরুসিংহে কিংবা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের(বিসিবি)।

এ নিয়ে আলোচনা বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার আগে সম্ভবত থামবে না। কিন্তু তামিমকে বাদ দিয়ে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা এরপর তামিমের ভিডিওবার্তা ও সাকিবের সাক্ষাৎকারের পর তামিম আর সাকিবের দ্বন্দ্ব তো এখন সর্বজনবিদিত। এ নিয়ে ভিডিওবার্তায় কথা বলেছেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

সেখানে সবার প্রথমে অবশ্য তামিমেরই দুটি ভুলের কথা উল্লেখ করেন মাশরাফি। কী কী সেই ভুল? এক, হুট করে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয়া। দুই, বোর্ডের কর্মকর্তা তাঁকে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে না খেলা বা খেললেও পরে ব্যাটিংয়ে নামার প্রস্তাব দিতেই তামিমের রেগে যাওয়া। রেগেমেগে যে তামিম বলে দিয়েছেন, তাঁকে বিশ্বকাপের দলেই না রাখতে!

ভিডিওবার্তায় মাশরাফি বলেছেন, ‘কোনো অ্যাঙ্গেল থেকেই মনে হয়নি তামিমের ক্যাপ্টেনসি ছাড়া উচিৎ হয়েছে। এখন তামিমের একটা ইস্যু ছিল সেটা হলো চোট। এটা পরিষ্কার যে ওর চোট ছিল। একটা দিক হচ্ছে, বোর্ড তামিমকে নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল। বোর্ড সব সময় স্পষ্টভাবে বলেছে যে তামিমকেই আমরা ক্যাপ্টেন হিসেবে দেখছি। সে জায়গা থেকে তামিম আসলে ক্যাপ্টেনসি ছাড়াটা উচিৎ ছিল কি না ইনজুরি মিলিয়ে, সেটা তামিমই বলতে পারবে।’

এরপর তামিমের ভুলের বিশ্লেষণে মাশরাফির কথা, ‘বোর্ডের কেউ না কেউ ওর সাথে কথা বলেছে, এরপর ও কিছুটা উত্তেজিত হয়ে যায়। এবং উত্তেজিত হওয়ার পরে সে দলে থাকতে চায়নি। আমি মনে করি যে এটাও একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।’

আরেক ভুল? সেই অধিনায়কত্ব ঘিরেই। মাশরাফি বললেন, ‘তামিমের ক্যাপ্টেনসি ছাড়াও আমার চোখে ভুল ছিল। বোর্ড সব সময়ই ক্লিয়ার ছিল যে তামিমই ক্যাপ্টেন থাকবে। এখানে ইস্যু ছিল তামিমের চোট। সেই ক্ষেত্রে তামিমের আরও অপেক্ষা করা উচিৎ ছিল কি না, বিশ্লেষণ করা যে, বিশ্বকাপ পর্যন্ত যেতে যেতে ও কতটুকু ফিট থাকবে, সেটাও দেখতে হতো। কারণ ক্যাপ্টেনসি যদি বদলাতেই হতো, সেটা বিশ্বকাপের আগে না করে আরও ছয় মাস আগে করলেই সেটা আদর্শ হতো। যেহেতু বিসিবি ধরেই নিয়েছিল যে তামিম ক্যাপ্টেনসি করবে, তার মানে তামিমকে কিন্তু বোর্ড ওই সুযোগ দিয়েছিল। আমি মনে করি, তামিম ওই সুযোগটা নিতে পারত।’

তামিম দুই ক্ষেত্রেই তাড়াহুড়ো করে, উত্তেজনার বশে সিদ্ধান্ত নিয়েই নিজেকে বিপাকে ফেলেছেন বলে মনে মনে করছেন মাশরাফি, ‘আবারও বলি, আমার মনে হয়েছে তামিমের চোটের ইস্যুগুলোর কারণে তামিম ক্যাপ্টেনসি করতে চায়নি। সেটা যদি হয়ও – ভালো কথা, তামিমের নেক্সট স্টেপ যেটা, বিসিবির যার সঙ্গেই তামিমের কথা হয়েছে, সে কথার পর তামিম উত্তেজিত হয়ে বলে দিয়েছে আমি দলে থাকতে চাই না। আমার চোখে সেখানেও একটু ধীরে এগোনো উচিৎ ছিল। কারণ রাগ-ক্ষোভের ওপরে মানুষ যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন, সেটা সঠিক সিদ্ধান্ত হয় না। তাই আমি মনে করি তামিমের সিদ্ধান্তগুলো আরেকটু ভেবেচিন্তে নিলে সেটা আরেকটু ভালো হতো।’

মাশরাফি বিন মর্তুজা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close