বেঁচে থাকতে উপেক্ষিত স্থপতি মাইনুলকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক
এবার ১০ বিশিষ্টজন ও এক প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়েছে। এর মধ্যে স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেনও একজন। যিনি বেঁচে থাকতে বরাবরই উপেক্ষিত ছিলেন। তাকে নিয়ে সাংবাদিক মেহেদি মাসুদ তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। পূর্বপশ্চিমের পাঠকদের সেটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
সম্পর্কিত খবর
তিনি স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন। জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের স্থপতি। মাত্র ২৬ বছর বয়সে জাতীয় স্মৃতিসৌধের নকশা প্রণয়ন করেন।
১৯৮২ সালের ১৬ ডিসেম্বর। জাতীয় স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন হয় সেদিন। সেই অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের অনেকেই ছিলেন নিমন্ত্রিত। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন না সৈয়দ মাইনুল হোসেন!
অনুষ্ঠান শেষে সবাই চলে যাওয়ার পর জনতার কাতারে দাঁড়িয়ে তিনি দেখেছিলেন তাঁর নকশা করা এই অনবদ্য স্থাপত্যকর্মটি। যিনি সৃষ্টি করেছেন, তাঁর কাছে এর চেয়ে বড় দুঃখের আর কী-ই বা হতে পারে?
শুধু তা-ই নয়, স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পর বড় একটি সময় পর্যন্ত স্মৃতিসৌধের নামফলকে স্থপতি হিসেবে ছিল না সৈয়দ মাইনুল হোসেনের নাম। মেধাবী এই স্থপতি জাতিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ উপহার দিয়েছিলেন। জাতি তাঁকে যন্ত্রণাদায়ক জীবন আর মৃত্যু উপহার দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ। এ বছর স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেনকে স্বাধীনতা পদক (মরণোত্তর) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যখন বেঁচে ছিলেন, তখন যদি তিনি এই স্বীকৃতি পেতেন, হয়তো দারুণ খুশি হতেন। হয়তো তাঁর চিরচেনা সেই চুপ করে তাকিয়ে থাকতেন, কিছুই বলতেন না।তাঁর জন্মদিন ১৭ মার্চ ১৯৫১ আর মৃত্যুদিন ১০ নভেম্বর ২০১৪। আসুন, এ বছর জন্মদিনে (১৭ মার্চ) স্বাধীনতা পদক (মরণোত্তর) পাওয়া মানুষটিকে সবাই একটু স্মরণ করি।
পূর্বপশ্চিম/এনএন