• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মানুষের মহতি পাশে মানুষ যেন সর্বদায় থাকে

প্রকাশ:  ০৮ মার্চ ২০২২, ২৩:০৯
ফিদা হাসান রিসলু

লৈংগিক রাজনীতির আড়ালে মানবিক প্রীতির উতলে হাতে-হাত বাড়ালে নারী আর পুরুষ শেষপর্যন্ত মানুষ। মানুষ যেহেতু "মান আর হুঁশ"এর সমবেত পীযূষ; তাই পুরুষ এখানে যেমন-করে প্রকাশিত, নারীও সেখানে সমানভাবে প্রচারিত।

প্রকাশে-প্রচারে তেমনি আকাশে অবিরত তার বোধের বিকাশে আর্থ-সমাজ-রাজনীতির পাশে পুরুষতন্ত্রের তৈরি করা নানান বিধির বারোয়ারী ব্যাধে ধরাশায়ী নারী সেই-যে কবে-থেকে জবুথবু আজও; বামনের মতো এখনো হয়ে আছেন যেন'বা নির্ঘাৎ কুঁজো। পিতৃতন্ত্রের যূপকাষ্ঠে নিস্পেষিত সেখানে-যেমন প্রাসাদের নন্দিনী, একইভাবে নির্যাতিত তেমন পথের ঘুটেকুড়ানি।

নারী শোষণে বিলেতের নবাব আর বিকলাংগ বাঙালি ভিখারি মিলেমিশে একাকার। তবুও অনেক অজস্র নারী আছেন, লেখাপড়ার বিবিধ বিহারে প্রতিষ্ঠিত যদিও তাঁরা সমাজ-রাষ্ট্রের সর্বত্রগামী, কিন্তু পুরুষতন্ত্রের পেষণে-দূষণের পরিণতিতে তাঁরাও শেষে অবধারিতভাবে হয়ে উঠেন কর্তৃত্বকামী।

অবিসংবাদী তার খড়গ কৃপান- জখম করছে যেমন পুরুষের মান, একইভাবে ধুলিসাৎ'ও করছে তেমন নারীর শাশ্বত সন্মান। মান-সন্মানের এই বিয়োগ ব্যথায় পরাভূত 'হুঁশ'এর এই নিঁখোজ সংবাদে উধাও-মানুষের তবুও পুরুষালয়ে পর্যুদস্ত নারীদের প্রসাধিত মুখশ্রীর আড়ালে অজস্র-আরও অনেক নারী-মানুষও থাকেন, রবিতে-রিদমে, নিরবে-নিরবধি আঁকেন যাঁরা ভিন্নতর ছবি।

মান আর হুঁশের যুগপৎ রবিতে তেমনি এই ছবিতে দেখি একখানিঃ হয়ে উঠা মানুষের হিরন্ময় খনি! ইটের পরে ইটের বোঝা মাথায় নিয়ে একদিকে যেমন বেঁচে থাকবার জন্য কঠিন সংগ্রাম, আরেকদিকে তেমন জ্যান্ত ভালোবাসা পিঠে বেঁধে বাঁচিয়ে রাখবার জন্যে সচেষ্ট অবিরাম।

কোমলে-কঠোরে এমনি রৌদ্রজলে অবিরাম সংগ্রামের এই মহতি অবিনাশ থেকে মান আর হুঁশের যে ধ্রুপদী ডংকা বাজে, সেখানে পুরুষ নয়, নারী নয়- মানুষ, কেবল মানুষই নমস্য হয়।

তাই নারী দিবস বুঝি না, পুরুষ দিবস খুঁজি না-শুধু জানি, মানুষের মহতি পাশে- মানুষ যেন সর্বদায় থাকে।

(ফেসবুক থেকে নেওয়া)

রিসলু
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close