• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নুরুল ইসলামের স্বপ্নপূরণে শিল্প বিকাশে উদ্যোগ নেওয়া হবে: অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম

প্রকাশ:  ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:০১
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

দোহার-নবাবগঞ্জে বেসরকারি খাতে শিল্প বিকশিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ অঞ্চলে কৃষি ও শিল্পভিত্তিক কল-কারখানা গড়ে উঠলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিতেও জোয়ার আসবে। মরহুম নুরুল ইসলামের স্বপ্নপূরণে তরুণ ও শিক্ষিত বেকারদের জন্য দোহার-নবাবগঞ্জে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে কাজ করা হবে।

ঢাকা-১ আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকালে কলাকোপার আমতলায় এক নির্বাচনি সভায় এসব কথা বলেন।

তিনি দুপুরে বান্দুরা বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় ও লাঙ্গল প্রতীকে ভোট চেয়ে লিফলেট বিতরণ করেন। সালমা ইসলাম নির্বাচনি প্রচারণার শুরু থেকেই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দিন-রাত মানুষের বাড়ি-বাড়ি ও ঘরে-ঘরে গিয়ে নারী-পুরুষদের কাছে ভোট চাইছেন। সকালে তার নিজ এলাকা চুড়াইনের আকারবাগ, কামারখোলা, গালিমপুর, গোবিন্দপুর এলাকায় হেঁটে-হেঁটে মানুষের দুয়ারে-দুয়ারে যান। এ সময় ভোটাররা তাকে সানন্দে গ্রহণ করে হাসিমুখে ভোট দেওয়ার কথা বলেন।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এ সময় বলেন, এমপি থাকাকালে দোহার ও নবাবগঞ্জের অবহেলিত এলাকায় অনেক সড়ক সেতু তৈরি করেছেন তিনি। বিশেষ করে নবাবগঞ্জের কৈলাইল ইউনিয়নের ভাঙ্গাভিটা গ্রাম থেকে মোল্লাকান্দা রায়পুর পর্যন্ত সড়ক তৈরি করে দিয়েছিলেন। এছাড়া ইছামতি নদীতে ব্রিজ নির্মাণ, কৈলাইল ইউনিয়নের পাড়াগ্রাম বাজার সংলগ্ন কালীগঙ্গা নদীতে বহুল প্রত্যাশিত সেতুর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর তিনি নিজে উদ্বোধন করেছেন। আগামী দিনে লাঙ্গল প্রতীকে আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে দোহার-নবাবগঞ্জের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনব ইনশাআল্লাহ।

এ সময় তিনি স্থানীয় ভোটার, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে বলেন, আমি শুধু আপনাদের ভোট নয়, সার্বিক সহযোগিতা চাই।

নতুন প্রজন্ম তথা এবার যারা প্রথম ভোট দেবেন- এমন ভোটারদের প্রতি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম আহবান জানিয়ে বলেন, প্রতীক নয় দোহার-নবাবগঞ্জের মানুষকে ভালোবেসে এই এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে তোমরা ডিজিটাল স্মার্ট দোহার-নবাবগঞ্জ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। আমি তোমাদের কথা দিচ্ছি- তোমাদের সহায়তায় এমপি হিসেবে বিজয়ী হলে সরকারি সহায়তায় ফ্রি ওয়াইফাই জোনসহ বেসরকারিভাবে বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধার ব্যবস্থা করব।

তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ের যেসব সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যথাসময়ে হয়নি তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের সার্বিক সহায়তায় জাতীয় সংসদে দাবি জানিয়ে পুনরায় কাজ করব। সরকারের বিলম্বিত প্রকল্পগুলো যাতে দ্রুত সমাপ্ত হয় সেই বিষয়ে জোর চেষ্টা থাকবে। এছাড়া আগামী দিনে দোহার-নবাবগঞ্জে সরকারি প্রকল্পসমূহের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। যাতে এ অঞ্চলের গ্রাম অবহেলিত না থাকে। কাঁচা-আধাপাকা সড়ক দ্রুত পাকা সড়কে রূপান্তর করব। গ্রামের শিক্ষার্থীরা যাতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সেজন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, শিশুপার্ক ও বিনোদন চর্চায় শিক্ষানুরাগীদের উৎসাহিত করা হবে।

সালমা ইসলাম এ সময় নারী ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, প্রতীক পাওয়ার পর থেকে দোহার-নবাবগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার ঘরে ঘরে যাচ্ছি। আমি আপনাদের এই এলাকার অহংকার যমুনা গ্রুপের স্বপ্নদ্রষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের সহধর্মিণী। আপনারা সবাই আমার আপনজন। আমাকে আর একটিবার সুযোগ দিন দোহার-নবাবগঞ্জের উন্নয়ন তথা এ অঞ্চলের আগামী প্রজন্মের উন্নয়নে কাজ করার। এ সময় উপস্থিত নারী-পুরুষরা সালমা ইসলামকে করতালি দিয়ে স্বাগত জানান।

এ দিন ঢাকা-১ আসনে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বান্দুরা ইউনিয়নের সাদাপুর বাজার, মাঝিরকান্দাসহ বান্দুরা বাজার এবং বিভিন্ন গ্রামে ভোটারদের কাছে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট চান। এ সময় তিনি বলেন, বান্দুরা একটি অসাম্প্রদায়িক এলাকা। শত বছরের অধিককাল ধরে এখানে মুসলিম, হিন্দু-খ্রিস্টানের বসবাস। তাদের মাঝে যাতে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় থাকে সেই লক্ষ্যে কাজ করা হবে।

লাঙ্গলের প্রার্থী সালমা ইসলাম আরও বলেন, দোহার-নবাবগঞ্জের ভাইবোনদের জন্য আমার দরজা খোলা থাকবে। আমি সিসি ক্যামেরা দিয়ে কারো জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করি না। গ্রামের লুঙ্গি-শাড়ি পরিহিত কৃষক শ্রমিক থেকে শুরু করে সবাই আমার কাছে যাবেন। পায়ে জুতা নেই, শরীরে ঘাম ঝরছে- এমন লোকও আমার দরজায় আটকায় না।

তিনি আরও বলেন, এবারের নির্বাচন দেশের মানুষের কাছে নজির সৃষ্টি করবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী বারবার সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছেন। আমার মা-বোনেরা ও ভাইয়েরা সবাই উৎসাহ নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। ভয়ের কোনো কারণ নেই। ভোট আপনার অধিকার। সেটা রক্ষা করতে আপনাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কারো হুমকি ধমকি বা রক্তচক্ষু আমরা ভয় করি না। আল্লাহ আমাদের সহায় আছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জুয়েল আহমেদ, জাতীয় পার্টি নেতা মশিউর রহমান খান তাপস, যুবসংহতি নেতা যুবরাজ নাজিম উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম স্বপন, আজিজুর রহমান শোভন, নুর হোসেন, সাহেদ ভূঁইয়া, মাসুদ খান নাসির, সজল শীল, বাহার উদ্দিন, প্রিন্স রবিন, আসলাম হোসেন, নাইম হোসেন, নুর ইসলাম দেওয়ান, ইদ্রিস আলী, আবুল কাশেম, মো. আকাশ, জাহিদুল ইসলাম, মো. আক্তার হোসেন, শ্রীকৃষ্ণ সাহা, মো. বোরহান, মো. ইমরান, সৌরভ হোসেন, নারী নেত্রী আসমা আক্তার রুমি, তাজনিনা আহমেদ প্রমুখ।

নবাবগঞ্জ,জাতীয় পার্টি,অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম,নির্বাচন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close