নৌকায় সিল মারেন ছাত্রলীগ নেতা: তদন্তের নির্দেশ, ব্যবস্থা নেবে ইসি
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত এক নেতার নৌকা প্রতীকে একাধিক সিল মারার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন।
সম্পর্কিত খবর
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান। তাকে তিন কর্মদিবসের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার (৫ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। এতে বিজয়ী হন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু। পরদিন নির্বাচনের একটি কেন্দ্রের ভেতরে অনিয়মের একটি ভিড়িও ভাইরাল হয়। ৫৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত এক নেতাকে ব্যালট বইয়ে নৌকা প্রতীকে একাধিক সিল মারতে দেখা যায়।
জানা গেছে, একাধিক সিল মারা ওই ব্যক্তির নাম আজাদ হোসেন। সদর উপজেলা দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি নৌকা প্রতীকে একাধিক সিল মারেন। আজাদ চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। গত মাসে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করে জেলা ছাত্রলীগ।
জানতে চাইলে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা আজাদ হোসেন বলেন, আমি ভোট দিয়েই কেন্দ্র থেকে চলে এসেছি। ভিডিওর বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ছিলেন লক্ষ্মীপুর সোনালী ব্যাংক শাখার এসও ক্যাশ কর্মকর্তা নুর হোসেন। তিনি বলেন, আমার কেন্দ্রে চার হাজার ৩২০ জন ভোটার। নির্বাচনে এক হাজার ৫৫২ জন ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে ৩২ ভোট বাতিল হয়েছে। ব্যালট বইয়ে একাধিক সিল মারার ঘটনা আমার জানা নেই। এমন কোনো ভিডিও আমি দেখিনি। ভোট চলাকালীনও এমন কোনো ঘটনা আমার নজরে আসেনি।
লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান জানান, ঘটনা তদন্তের জন্য চিঠি রিটার্নিং কর্মকর্তার চিঠি পেয়েছি। তদন্ত করে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেব।