এআই দিয়ে খেলোয়াড় নির্বাচন করছে ইংল্যান্ডের নারী ক্রিকেট

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির (এআই) সাহায্য নিয়ে দলের খেলোয়াড় নির্বাচন করছে ইংল্যান্ডের নারী ক্রিকেট দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য সম্প্রতি স্কোয়াড ঘোষণা করেন ইংল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলের কোচ জন লুইস।

তিনি জানান, ২০২৩ মেয়েদের অ্যাশেজ সিরিজ থেকে দল নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ২২ জুন থেকে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত একাধিক সংস্করণের সেই সিরিজে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল ইংল্যান্ড নারী দল। তবে একমাত্র টেস্টটি হেরেছিল হিদার নাইটের দল।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগে (ডব্লিউপিএল) ইউপি ওয়ারিয়র্জের কোচের দায়িত্বে থাকার সময় প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সহায়তা নেন জন লুইস।

এ বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে দলের প্রস্তুতিতে এআই প্রযুক্তি বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন ইংলিশ কোচ।

লুইস বলেন, ‘‘এটা এমনকিছু যেটা আমি দেখেছি এবং এটা নিয়ে ভেবেছিও। ইংল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলে এটা (এআই) গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছু যোগ করতে পারে। যেটা বলতে চাচ্ছি, আমরা এটা দিয়ে দল নির্বাচন করি না, তবে এটা নির্বাচন প্রক্রিয়ার একটা অংশ, যা ভবিষ্যতে কী হতে পারে, সেটা বুঝতে সাহায্য করে।’’

তিনি বলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে ম্যাচ-আপের ক্ষেত্রে আমরা গত অ্যাশেজে খুব সফলভাবে এটা ব্যবহার করেছি। তবে একটি বিষয়ের অভাব অনুভব করি, সেটা হলো মেয়েদের ক্রিকেটে ঐতিহাসিক তথ্য-উপাত্তের অনুপস্থিতি। তবে অনেক অনেক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যেহেতু আমরা আরও সামনে এগিয়ে যাচ্ছি, বিশেষ করে ফ্র্যাঞ্চাইজি পর্যায়ে, আশা করি, সামনে আরও নিখুঁত তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাবে।’’

লুইস জানিয়েছেন, দুটি স্বল্প ব্যবধানের মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি উপকারী। তবে দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনি মানুষের মতামতকেই প্রাধান্য দেন। ‘‘ক্রিকেটীয় চোখ’’ এর বিকল্প কিছু নেই বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন লুইস।

তিনি বলেন, ‘‘এটা কি কখনো এমন কিছু হবে, যা দল নির্বাচন করবে? আমার মতে, না। অন্য কোচেরা ভিন্নমত পোষণ করতে পারেন।’’

বার্মিংহামে ১১ মে থেকে শুরু হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপর ২৩ মে থেকে শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে এ দুটি সিরিজ ইংল্যান্ডের নারী ক্রিকেটারদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে শুরু হবে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।