চেয়ারপারসনকে মুক্ত করে তারেককে দেশে ফিরিয়ে আনবো

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বারবার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান’। আর ঘুঘুকে ধান খেতে দেওয়া হবে না। আমরা প্রতিরোধ গড়ে তোলবো। আমাদের চেয়ারপারসনকে মুক্ত করে, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের আগে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার সবকিছুর দাম বাড়িয়েছে৷ আপনাদের শীতে কষ্ট, ভাতের কষ্ট, চালের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছে। গ্যাসের দাম, ডালের দাম, বিদুৎতের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে কষ্টে রেখেছে। গরিব মানুষ আরো গরিব হচ্ছে, আর তারা ধীরে ধীরে ফুলছে। ব্যাংকের ঋণ নেওয়ার মানে বিদেশে টাকা পাচার করছে। যার স্যান্ডেল পরার ক্ষমতা ছিলো না সে এখন গাড়িতে ঘুরছে, ১০ তলা বাড়ি করছে।

তিনি বলেন, আজকে বাড়ি থেকে অফিসে হেঁটে আসলাম। আসার পথে দেখলাম রাস্তাঘাটের অবস্থা একেবারে নাজেহাল। সব উঠে গেছে রাস্তার। এটাই হচ্ছে ১৪ বছরের তাদের বাস্তব চিত্র। আর উন্নয়নের নাম দিয়ে এ সরকার জনগণকে বোকা বানাচ্ছে। আমরা আমাদের ২৭ দফা প্রস্তাব দিয়েছি। আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। তবে আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ নয়। কারণ তারা কাউকে ভোট দিতে দেয় না। তাদের কথা হলো, আমার ভোট আমি দেবো, তোমার ভোটও আমি দেবো। আগামীতে আর এ রকম করতে দেওয়া হবে না। শান্তিপূর্ণভাবে এর বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

কিছু বললেই তারা মামলা দিয়ে দেয় মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার খারাপ এ কথাটা বললে তারা মামলা দিয়ে দেয়। তাদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যায় না। যদি কথা বলায় না যায় তাহলে আমরা দেশকে স্বাধীন করেছিলাম কেন। আমরা গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। পাকিস্তান আমাদের সঙ্গে জুলুম করতো আমরা তাদেরকে বলেছি আসসালামু আলাইকুম। অথচ তাদের মতোই শাসন ব্যবস্থা কায়েম করছে এ সরকার। তবে তা আর করতে দেওয়া হবে না।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাগারে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের চেয়ারপারসনের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। হাজী সেলিমের জামিন হয়, ক্যাসিনো সম্রাটের জামিন হয়, ১৭ বছর কারাদণ্ড হওয়ার পর মোফাজ্জল হোসেন মায়া আওয়ামী লীগের বড় নেতা হয়ে ঘুরে বেড়ায়। অথচ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জামিন হয় না।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম