• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ইন্ডিয়া আউট, পাকিস্তান ইন

প্রকাশ:  ৩০ মার্চ ২০২৪, ০২:০৩
সৈয়দ বোরহান কবীর

‘ইন্ডিয়া আউট’ কর্মসূচী প্রথম শুরু হয়েছিল ২০২১ সালে মালদ্বীপে। মালের সাবেক মেয়র এবং তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা মোহাম্মদ মুইজ্জু এই কর্মসূচীর প্রবক্তা। মুইজ্জুর ‘ভারত বিরোধীতা’ তার মালদ্বীপের প্রতি ভালবাসা থেকে উৎসারিত নয়। দেশপ্রেম থেকেও মুইজ্জু এরকম ঘোষণা দেননি। এর পেছনে ছিলো ক্ষমতায় যাওয়ার কৌশল। মূলত চীনের পৃষ্ঠপোষকতায় মোহাম্মদ মুইজ্জু ‘ইন্ডিয়া আউট’ কর্মসূচী বাজারজাত করেছেন। নির্বাচনে তার জয়ের পিছনে ছিলো সরাসরি চীনের পৃষ্ঠপোষকতা। মালদ্বীপে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে চীন এবং ভারতের লড়াই বেশ পুরনো। সাম্প্রতিক সময়ে এই বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নেয়। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভারত এবং চীনের হস্তক্ষেপে কোন রাখ ঢাক ছিলো না। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর রান অফ নির্বাচনে (কোন প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে দ্বিতীয় দফা ভোট গ্রহণকে রান অফ বলা হয়) মালদ্বীপের ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহকে পরাজিত করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের মোহাম্মদ মুইজ্জু।

ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ ভারত পন্থী আর মোহাম্মদ মুইজ্জু চীন পন্থী হিসেবেই পরিচিত। মালদ্বীপে মুইজ্জুর জয়ের পর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম ছিলো ‘মালদ্বীপে ভারতকে পরাজিত করলো চীন।’ যেহেতু চীনের আনুকূল্যে মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তাই শপথ নিয়ে মালদ্বীপের জনগণ নয়, চীনের স্বার্থ সুরক্ষাই মুইজ্জুর প্রধান দায়িত্ব হয়ে ওঠে। এজন্য তিনি একের পর এক ভারত বিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে শুরু করেন, যাতে চীন সুবিধা পায়। মালদ্বীপের নতুন রাষ্ট্রপতি তার দেশের জনগণের স্বার্থ দেখার চেয়ে চীনের স্বার্থ সংরক্ষণে মনোযোগী। একজন নেতা কিংবা একটি দল যখন ঢালাও ভাবে কোন কিছু বিচার বিবেচনা না করেই অন্য একটি দেশের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নেয়, তখন ঐ নেতা বা দল জনগণের স্বার্থে নয়, অন্য কোন উদ্দেশ্যে এটা করছে বলে ধরে নিতে হয়। কারণ জনগণের স্বার্থে ঢালাও ভাবে একটি দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কোন যুক্তি সংগত কারণ নেই। এটি কূটনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভূত। ঘোষণা দিয়ে কোন দেশের পণ্য বর্জনের ডাক দেয়া একধরনের সন্ত্রাসী কাজ। এর পেছনে থাকে তৃতীয় দেশের স্বার্থ। যেমনটি আমরা দেখছি মালদ্বীপে।

মালদ্বীপে ‘ইন্ডিয়া আউট’ কর্মসূচী রাজনৈতিক ভাবে কতটা সফল তা সময়ই বলে দেবে। তবে মুইজ্জুর এই ঘোষণায় ভারতীয় পণ্যের অবৈধ বাজার জমজমাট হয়েছে মালদ্বীপে। গোপনে আরো বেশী দামে ভারতীয় পণ্য কিনছে মালদ্বীপের জনগণ। বিশ্বায়নের এই যুগে একটি বিশেষ পণ্য বা একটি দেশের পণ্য সামগ্রী বর্জন কেবল একটি রাজনৈতিক চটকদার শ্লোগান হয়, বাস্তবে এধরনের আন্দোলনের কোন ফল আসে না। মালদ্বীপে ‘ইন্ডিয়া আউট’ কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট বোঝাতে চেয়েছেন, তিনি চীনা পন্থী, ভারত বিরোধী। এর সঙ্গে জনগণের কোন সম্পর্ক নেই।

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, রাষ্ট্রপতি পদে থেকে যিনি নির্বাচন করেন, তিনি পরাজিত হন। টানা চতুর্থবারের মতো মালদ্বীপে এই ঘটনা ঘটলো। কাজেই মুইজ্জুর বিজয় জনগণের পরিবর্তনের ঝোঁক থেকেই এসেছে। তাছাড়া বড় দেশের ছোট প্রতিবেশীর জনগণের মধ্যে সবসময় একধরনের অনিশ্চয়তা এবং হীনমন্যতা কাজ করে। এই অনিশ্চয়তা থেকে তৈরি হয় বিরোধীতা এবং বিদ্বেষ। বড় প্রতিবেশীর উপর নির্ভরতা সত্বেও তাদের উপর একধরনের ক্ষোভ, অভিমান সব সময়ই থাকে। মালয়েশিয়ার চেয়ে অনেক এগিয়ে সিঙ্গাপুর। কিন্তু তারপরও পানির জন্য সিঙ্গাপুর পুরোপুরি মালয়েশিয়ার উপর নির্ভরশীল। দুই দেশের সম্পর্ক চমৎকার, আবার সিঙ্গাপুরের জনগণের মধ্যে মালয়েশিয়া বিরোধী একটা মনোভাবও আছে। তেমনি বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতের উপর তার প্রতিবেশী রাষ্ট্র সমূহ পুরোপুরি খুশী নয়। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপ এমনকি বাংলাদেশেও ভারত বিরোধী মনোভাব আছে। সীমান্তে হত্যা হলেই এদেশের জনগণ ভারতকে দায়ী করে। ভারত তার নিজের দেশের স্বার্থে এবং প্রয়োজনে পেঁয়াজ বা অন্য কোন পণ্য রপ্তানি বন্ধ করলেই, বাংলাদেশে হাহাকার ওঠে। ভারত কিভাবে এটা করলো, এনিয়ে জনগণের মধ্যে আর্তনাদ লক্ষ্য করা যায়।

ক্রিকেট মাঠে ভারতকে হারালে বাংলাদেশের তরুণদের বুঁনো উল্লাস বেড়ে যায়। বাংলাদেশের মতোই মানসিকতা শ্রীলঙ্কা, নেপাল কিংবা মালদ্বীপের জনগণের। বড় ভাইয়ের প্রতি যে ঈর্ষা, অভিমান থাকে, এই দেশ গুলোর সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে তেমনি। আবার এই সব দেশের জনগণ ভারতের উপর নির্ভরশীল। ভারতীয় ছবি না দেখলে এই সব দেশের নাগরিকদের বিনোদন হয়না। হিন্দি গান ছাড়া বিয়ের অনুষ্ঠান পূর্ণতা পায় না। বাংলাদেশসহ ভারতের সব প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নাগরিকদের সকাল শুরু হয় ভারতীয় পণ্য দিয়ে। রাতে ঘুমানোর সময় ভারতের নির্ভরতা জানান দেয়। সকালে দাঁত মাজতে ভারতীয় টুথ পেস্ট, ভারতীয় পেঁয়াজের রান্নায় সকালের নাস্তা বা দুপুরের খাবার। ভারতীয় চিনি মেশানো এক কাপ চা। ভারতের মশলা, ভারতীয় কাপড়, ভারতের খাবার, ভারতের সিরিয়াল-কোথায় ভারত নির্ভরতা নেই? ভারতের ভিসা পেতে বিড়ম্বনা হয়, এমন অভিযোগে অসন্তুষ্ট মানুষই চিকিৎসার জন্য ভারতের উপরই নির্ভর করে। বাংলাদেশ সহ ভারতের অন্যান্য প্রতিবেশীদের ভারত নির্ভরতা অনেকটা বাতাসের মতো। বায়ু মন্ডলে বসবাস করে যেমন আমরা বাতাসের প্রয়োজন বুঝতে পারিনা। কিন্তু বাতাস ছাড়া এক মুহূর্ত আমরা বাঁচতে পারবোনা। তেমনি ভারত ছাড়া আমরা অচল। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করার পরও কেউ কেউ ‘ইন্ডিয়া আউটে’র মতো কর্মসূচী গ্রহণ করে। এই কর্মসূচী দেশের জনগণের স্বার্থে নয়। মুইজ্জু যেমন চীনের স্বার্থে ইন্ডিয়া আউট বাজারে এনেছেন, বাংলাদেশেও তেমনি বিএনপি এবং স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠী বিশেষ কারো স্বার্থে ‘ইন্ডিয়া আউট’ আদলে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। এই আহ্বানের মধ্যে দিয়ে ভারত বিরোধীতার হিংস্র রূপ নতুন করে প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু আদৌতে ভারতীয় পণ্য বর্জন হলো স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। এই আহ্বানের মধ্যে রয়েছে উগ্র জাতীয়তাবাদী ফ্যাসিস্ট এক মানসিকতা। এই অঞ্চলে ভারত বিরোধী রাজনীতি মালদ্বীপের চেয়েও পুরনো।

বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধিকার আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন তখন বলা হয়েছিল এটা ভারতের ষড়যন্ত্র। ছয় দফা আন্দোলনকেও ভারতের নীলনক্সা বলার চেষ্টা হয়েছিল। এভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে ‘ভারতের আগ্রাসন’ এবং ‘ভারতের ষড়যন্ত্র’ তত্ত্ব আবিষ্কারের কসরত ছিলো। এর মাধ্যমে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। রিজভীর-পিনাকী গংরা এখন যে ভারতীয় পণ্য বর্জনের নাটক করছেন, এই নাটক ১৯৭১ এ যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম-নিজামী গংরা করেছিলেন। সেই পুরনো ধুলো জমা পান্ডুলিপি পুনরায় মঞ্চস্থ করছে রিজভী-পিনাকী। ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধকে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম এবং নিজামী ভারতের আগ্রাসন হিসেবে অভিহিত করেছিল। এজন্য সেই সময়ে এই ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াত ভারতীয় পন্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল।

৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে যখন লাখ লাখ শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছে তখন নিজামী, মুজাহিদরাও ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে ভারতের পণ্য পুড়িয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের মুখপাত্র ‘সংগ্রামে’ তা ঘটা করে প্রকাশিত হয়েছিল। দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই সেই সময় ভারত জুজু ছড়ানো হয়েছিল। কিন্তু সে সময় গোলাম-নিজামীর ভারত বর্জন কাজে দেয়নি। ভারত বিরোধীতা, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক- ইত্যাদি কুৎসিত, কদর্য রাজনৈতিক কৌশল ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় আবিষ্কৃত এবং পরিত্যন্ত। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশের অভ্যুদয় রুখতে ভারত বিরোধীতার নোংরা খেলা শুরু করেছিল। কিন্তু বীর বাঙালী এসব চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করেই স্বাধীনতার সোনালী সূর্য ছিনিয়ে আনে। তবে ৭১ এর পরাজিত শক্তি স্বাধীনতার পরও ‘ভারত বিরোধীতার’ অস্ত্র ব্যবহার অব্যাহত রাখে। দেশের জনগণের মধ্যে ভারত বিদ্বেষ ছড়ানোর এক মনস্তাত্বিক যুদ্ধ শুরু করে পাকিস্তান পন্থীরা। চলতে থাকে গোয়েবলসীয় কায়দায় মিথ্যাচার। ভারত বাংলাদেশকে গ্রাস করে ফেলেছে, বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে এসব বক্তব্য জনগণের মধ্যে নিবিড়ভাবে প্রচার শুরু করা হয়। অথচ মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান, শরণার্থীদের আশ্রয় দান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ বিনির্মানে ভারতের সহযোগিতার বিষয়গুলোকে আড়াল করা হয়। এভাবেই একটি ভারত বিরোধী আবহ তৈরী করে ৭৫ এর ১৫ আগস্টের নৃশংসতম ঘটনা ঘটানো হয়। ভারত বিরোধী রাজনীতিকে চাঙ্গা করেন জিয়া, এরশাদ। আর এটি করতে যেয়ে যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকেও মাঠে নামায় এই অবৈধ শাসকরা। মালদ্বীপে যেমন ইন্ডিয়া আউট কর্মসূচীর নেপথ্যে চীন। বাংলাদেশে তেমনি ভারত বিরোধীতার রাজনীতির কলকাঠি নাড়ে পাকিস্তান। আরো নির্দিষ্ট করে বললে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। স্বাধিকার আন্দোলন থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে যারা ভারত বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন বা করছেন, তারা সবাই পাকিস্তানের চর। দেশের স্বার্থে নয় বরং পাকিস্তানি এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই তারা এটি করছে।

প্রশ্ন উঠতেই পারে পাকিস্তান কেন বাংলাদেশে ভারত বিদ্বেষ ছড়াবে? এতে পাকিস্তানের লাভ কি? পাকিস্তানের লাভ বহুমাত্রিক। প্রথমত, বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক খারাপ হলে দুই দেশই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বেশী ক্ষতি হবে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ গত ৫৩ বছরে পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে। এটা পাকিস্তানের জন্য অসহনীয় বেদনার। মুখে যাই বলুক না কেন, এনিয়ে পাকিস্তানের হতাশার শেষ নেই। এখন যদি বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক খারাপ হয় এবং তাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা বাঁধাগ্রস্থ হয়, তাহলে পাকিস্তান খুশী। কারণ, পাকিস্তান এমন এক রাষ্ট্র যেটি নিজের ভালোর জন্য যতো পরিশ্রম করে, অন্যের ক্ষতির জন্য করে তার চেয়ে বেশী। নিজের ব্যর্থতার জন্য তারা দুঃখিত হয়না, অন্যের সাফল্যে হতাশ হয়। বাংলাদেশে ভারত বিদ্বেষ বাড়লে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাংলাদেশে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়া সহজ হবে। ভারতকে অশান্ত রাখার পাকিস্তানি স্বপ্নপূরণ হবে। এরকম নানা কারণে বাংলাদেশে ভারত বিদ্বেষ চায় পাকিস্তান। ভারতকে ঘায়েল করতে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করার কৌশল পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের পুরোনো নেশা। সেজন্য বাংলাদেশে দরকার তীব্র ভারত বিদ্বেষ। যেটি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে নতুন করে।

এখন বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে নাটক শুরু হয়েছে তা আসলে ভারতীয় পণ্য বর্জনের জন্য নয়। রিজভী গায়ে থেকে ভারতীয় শাল খুলে যে আগুন দিলেন, তার বাড়ীতে এরকম কত ভারতীয় শাল আছে কে জানে? ভারতীয় শাড়ী, ভারতের চিনি, পেঁয়াজ, চাল, মশলা এসব কি রিজভীরা বর্জন করতে পারবে? রিজভীর ভারত বিরোধীঅবস্থান নিয়ে বিএনপিতেও প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু আমি মনে করি এই প্রশ্ন তোলাটাও সাজানো নাটক। জনগণের মধ্যে ভারত বিদ্বেষ ছড়ানো বিএনপির শেষ অস্ত্র। বিএনপি এর মাধ্যমে বাংলাদেশে পাকিস্তান পন্থী রাজনীতিকে এক কাতারে আনতে চায়। পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের ফ্যাক্টরীতে প্রস্তুত বিএনপির এটাই টিকে থাকার শেষ অস্ত্র। ইন্ডিয়া আউট কর্মসূচী আসলে পাকিস্তান পন্থীদের পুনঃবাসন। সেটি না করলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। সেজন্যই ভারতীয় পণ্য বর্জনের নাটক। সব হারিয়ে ভারত বিরোধীতার আশ্রয়ে থেকে বিএনপি বাঁচতে চাইছে। যেখান থেকে তাদের জন্ম হয়েছিল।

লেখক- নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত ই-মেইল: [email protected]

সৈয়দ বোরহান কবীর
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close