• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

অসময়ের বৃষ্টি থামাতে পারেনি বইমেলায় তারুণ্যের স্রোত

প্রকাশ:  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

বইমেলায় বৃষ্টি কিছুটা বিঘ্ন ঘটালেও কমেনি পাঠকের ভিড় ও বই বিক্রি। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলার ২২তম দিনে বিক্রি বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রকাশকদের দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছিল অসময়ের বৃষ্টি।

মেলার মূল প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়ার আগে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ক্রমেই মেঘাচ্ছন্ন আর কালো হওয়ায় প্রকাশকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে।

বাউণ্ডুলে প্রকাশনার প্রকাশক অনিন্দ্য দীপ বলেন, আজ বইমেলার পাঠক-দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়ার ঘণ্টা খানেক পর (সাড়ে ৪টা) থেকেই বৃষ্টি হবে মনে হয়েছিল। লোকজনের সমাগমও কম ছিল। কিন্তু সময় গড়াতেই বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়। মেলার শেষ শুক্রবার-শনিবার বিক্রি আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।

এ দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে কথা হয় নটর ডেম কলেজের একদল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। তাদের হাতে রয়েছে বেশকিছু নতুন বই।

তাদের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী স্বরাজ সাহা বলেন, এতদিন বইয়ের তালিকা তৈরি করেছি। এখন পছন্দের বইগুলো মেলা ঘুরে কিনব। তবে পুরোনো লেখকদের বই বেশি টানছে নতুন লেখকদের তুলনায়।

একইরকম কথা জানালেন মেলায় ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বিথি মল্লিক। তিনি বলেন, আসলে আজ বৃষ্টিটা হুট করেই এসে গেল। অনেক বই দেখার ও কেনার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে মেলার অধিকাংশ স্টল-প্যাভিলিয়ন বইগুলো ঢেকে রেখেছে। হাতে সময়ও কম তাই বৃষ্টি থামা মাত্রই চলে যেতে হচ্ছে।

তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে প্রথমার সামনে সপরিবারে পাওয়া গেল ভারত বিচিত্রার সম্পাদক কবি অরবিন্দু চক্রবর্তীকে। তার হাতেও ব্যাগভর্তি বই। এবার মেলায় তার একটি কবিতার বই ‘কবিতা সংগ্রহ’ প্রকাশ পেয়েছে।

তিনি বলেন, বইমেলায় এবার প্রায় প্রতিদিনই আসা হচ্ছে। পাঠক-দর্শনার্থীদের মতামত নিচ্ছি। অন্যদের বইও দেখছি। কিনছি। এবারের মেলায় সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে আছে কবিতার বই। প্রায় এক হাজারের মতো নতুন কবিতার বই প্রকাশ হয়েছে এবারে বইমেলায়। তবে বিক্রির দিক থেকে এগিয়ে আছে উপন্যাস, সায়েন্স ফিকশন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে ইতিহাস ধর্মী, সায়েন্স ফিকশন, গোয়েন্দা সিরিজের বইয়ের চাহিদা বেশি। মেলার সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে আইমান সাদিক, মুহম্মদ জাফর ইকবালের বই।

কথাপ্রকাশের স্টল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউনূস বলেন, এবার বইমেলায় তরুণ লেখকদের গল্প, উপন্যাসের বইও ভালো বিক্রি হচ্ছে। আমাদের এখানে বেশ কয়েকজন তরুণ লেখকের বই প্রকাশ হয়েছে। তাদের লেখায় রয়েছে বৈচিত্র্য।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে মেলায় এসেছে কবি রুদ্র গোস্বামী। এবার বইমেলায় তার কবিতা নতুন বই এসেছে। তিনি বলেন, মেলায় হাজার হাজার বই প্রকাশ হচ্ছে। পাঠক বই কিনছে। এদের মধ্য তরুণদের সংখ্যা বেশি। বাঙালি যে বই বিমুখ হয়নি তার প্রমাণ বাংলাদেশের বইমেলা। তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ এই বইমেলা নতুন নতুন বইয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে।

বইমেলা,তরুণ,বৃষ্টি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close