পিটার হাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ তুলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নানা বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের কো-অপারেশন আছে। আমরা জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে, উগ্রবাদ মোকাবিলায় দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করেছি। আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ব্যাপারে আমরা একমত ব্যক্ত করেছি। গত নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেকে পর্যবেক্ষণ করতে এসেছে সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে। কারণ, নির্বাচনের দিন অনেক কুয়াশা ছিলো সকালে এবং ঠাণ্ডাও ছিলো। সেটি না হলে ভোট আরো ১০ শতাংশ বেশি পড়ত। সেটি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা উভয় দেশ সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করার লক্ষ্যে, জঙ্গি দমন, উগ্রবাদ মোকাবিলাসহ সব ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করার ব্যাপারে একমত হয়েছি।
সম্পর্কিত খবর
নির্বাচনের পর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে গুঞ্জন ছিলো। কিন্তু আজকের বৈঠকে পিটার হাসকে হাস্যোজ্বল দেখা গেছে। সেই অস্বস্তি কতোটা কাটলো- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা উভয় দেশ আমাদের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করার লক্ষ্যে আমাদের সরকার মার্কিন সরকারের সাথে একযোগে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ব্যাপারে আমরা ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। দুই রাষ্ট্রদূতের সাথেই আমার ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের একটি বড় উন্নয়ন সহযোগী। বাণিজ্য ক্ষেত্রেও তারা একটি বড় বাণিজ্যের অংশীদার। আমি গত ৫২ বছরের পথচলায় মার্কিন সহায়তার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। আমরা উভয়েই আমাদের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করার ব্যাপারে একমত হয়েছি। সে লক্ষ্যে কাজ করা বলে আমরা আলোচনা করেছি। মার্কিন রাষ্ট্রদূতও নতুন সরকারের সাথে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করার জন্য, বাণিজ্য আরো বিস্তৃত ও সরাসরি বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলেছি। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে আমরা তাদের সহায়তা সব সময় চেয়ে এসেছি। আজকে সেটি পুনর্ব্যক্ত করেছি। তারা আমাদের সহায়তা করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে আমরা একসাথে কাজ করে যাবো। ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাথেও এটি নিয়ে কথা বলেছি। রোহিঙ্গা ইস্যুটি শুরুতে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় অমানবিক হামলার ঘটনায় বিশ্বের দৃষ্টি অনেকটা সরে গেছে। সেজন্য আমি তার সাথে আলোচনা করেছি রোহিঙ্গা ইস্যুটি আমাদের জন্য সমস্যা। বাংলাদেশে ঘন জনবসতি। সেখানে ১৫ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের জন্য বাড়তি সমস্যা। সেজন্য তাদের নাগরিক অধিকার দিয়ে মিয়ানমারে পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করেছি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম