ঋণ শোধ নিয়ে বিবিসির খবরটি সঠিক নয়: আরাফাত
বাংলাদেশকে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হবে। সম্প্রতি প্রকাশিত বিবিসি বাংলার এ প্রতিবেদনটি ডাহা মিথ্যা বলে মন্তব্য করেছেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ কৌশলগত ব্যবস্থাপনা ও নীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত।
তিনি বলেছেন, ‘আগামী চার মাসে ১২ বিলিয়ন ডলার ঋণ শোধ করতে পারবে বাংলাদেশ?’ এ শিরোনামে বিবিসি বাংলা যে রিপোর্ট করেছে তা একেবারেই ভুল তথ্য।
সম্পর্কিত খবর
শনিবার (১২ আগস্ট) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা লিখেন।
ফেসবুকে মোহাম্মদ এ আরাফাত লেখেন- বিবিসি বাংলা রিপোর্ট করেছে “বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতকে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হবে।” -এটি একটি ডাহা মিথ্যা কথা। অথচ, কিছু সুশীলও এই মিথ্যাচারের সাথে সুর মিলিয়ে একই রকম অপপ্রচার করেছে। এরা জাতিকে শুধু বিভ্রান্ত করতে চায়।
স্বাধীন সাংবাদিকতা মানে মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার নয়। অথচ, এরা মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এই ধরনের উস্কানিমূলক খবর ছাপায়। এই ধরনের রিপোর্ট মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার শামিল।
সত্য তথ্য হলো, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারকে ১.২ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বেসরকারি খাতে কিছু স্বল্পমেয়াদী ঋণ নেওয়া হয়েছে, যা প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার, এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হবে।
অবশিষ্ট ঋণ বেসরকারি খাতের ঋণগ্রহীতাগণ অতীতের মতই নবায়ন করে নিবে, যা সব সময় করা হয়েছে। অর্থাৎ, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সব মিলিয়ে ৩.৫ বিলিয়ন ডলারের মত ঋণ পরিশোধ করতে হবে যা কোনো সমস্যাই নয়।
ডিসেম্বরের মধ্যে ১২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে, এটা একেবারেই ভুল তথ্য।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিবিসি বাংলা ‘আগামী চার মাসে ১২ বিলিয়ন ডলার ঋণ শোধ করতে পারবে বাংলাদেশ?’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতকে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আসা এবং ডলার সংকটের কারণে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করা জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।