পায়রা থেকে ৬৪৫ কিমি দক্ষিণে অবস্থান করছে ‘মোখা’
চরম প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। রোববার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে যেকোনো সময় কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার এলাকায় আঘাত হানতে পারে।
শনিবার (১৩ মে) রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল।
সম্পর্কিত খবর
তিনি বলেন, বরিশালের নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া ৮০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
মাসুদ রানা রুবেল বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব শেষ হবার পরও ২ থেকে ৩ দিন ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর জলোচ্ছ্বাসের কারণে নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাবে।
এদিকে মোখার ভয়াবহতা মোকাবিলায় কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত তোলা হয়েছে। এর মানে হচ্ছে বন্দরে প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে নিপতিত। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা তার ঊর্ধ্বে হতে পারে। ঝড়টি বন্দরের ওপর বা কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা সমুদ্রবন্দররে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত তোলা হয়েছে।
আট নম্বর সংকেতের মানে হলো বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি.মি. বা তার ঊর্ধ্বে হতে পারে। ঝড়টি বন্দরের বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে। এর চার নম্বর সংকেতের মানে হলো বন্দর ঘূর্ণিঝড়কবলিত। বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১-৬১ কিলোমিটার, তবে ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার মতো তেমন বিপজ্জনক সময় এখনো আসেনি।
এদিকে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো আট নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম