‘প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাভোকেট কামরুল ইসলাম।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
সম্পর্কিত খবর
জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস)।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কামরুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ এর বাইরে নয়। তাই দেশের মানুষ এখন কষ্টে আছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিকল্পিতভাবে এই সংকট মোকাবিলা করছেন। করোনা যখন এসেছে, তখন ধারণা করা হয়েছিলো হাজার হাজার মানুষ মারা যাবে। এটাকে আমরা মোকাবিলা করতে পারবো না। কিন্তু বিশ্বের যে কয়টি দেশ সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করেছে, তার মধ্যে একটি বাংলাদেশ। মানুষ বিনামূল্যে টিকা পেয়েছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর দেশে সাড়ে ৭ কোটি মানুষ ছিলো। এখন তা হয়েছে ১৭-১৮ কোটি। মানুষ বাড়লেও কৃষি জমির পরিমাণ বাড়েনি। উল্টো কমে গেছে। ফলে উৎপাদনও কমেছে। কিন্তু তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় আমরা আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষক এবং কৃষি উৎপাদন কীভাবে বাড়ানো যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমরা অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত হই। তারপর দীর্ঘ ২৯ বছর স্বাধীনতা বিরোধী একাত্তরের পরাজিত শক্তি বিভিন্ন লেবাসে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলো। এই সময়ে দেশে কৃষির অগ্রগতি কতোটুকু হয়েছে কেউ বলতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, কৃষি উৎপাদন বাড়াতে জাতির পিতা ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি গবেষণা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে বিকশিত হয়েছে। ফলে বিভিন্ন ধরনের ধান উৎপাদনের মাধ্যমে আমরা ফসল উৎপাদন দ্বিগুণ, তিনগুণ করতে পেরেছি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম