সংসদ নির্বাচনের আগে ৫ শতাধিক কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে ইসি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৫ শতাধিক নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (১৬ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে পদ সৃজন ও উন্নীতকরণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পরে জনপ্রশাসন ও অর্থবিভাগে যাবে। ৫২২টি সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পদ সৃষ্টি হয়েছে। সরাসরি রিক্রুট হবে কিছু আর বেশিরভাগই পদোন্নতি হবে। আগে এসবের জন্য নিয়োগবিধি ছিলো না। আমরা এটা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে এটি সচিব কমিটিতে যাবে। তারা অনুমোদন করলে আমরা পিএসসিকে অনুরোধ করবো নিয়োগের জন্য।
সম্পর্কিত খবর
মো. আনিছু রহমান বলেন, অনেকেই আছেন একই পদে ১৬-১৭ বছর কাজ করছেন। এদের কেউ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, কেউ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হয়েছেন। তাই কিছু পদ সৃষ্টি, কিছু পদ উন্নীত করার জন্য চেয়েছি। অনেক দিন ধরে দাবি আছে তাদের। আগের কমিশনের সময় বিষয়টি কমিশনে উত্থাপন করেছিলেন। তারা নতুন কমিশনের জন্য রেখে গিয়েছিলো। প্রশাসনিক বিষয় সংস্কার বিষয়ক একটি কমিটি আছে আমার নেতৃত্বে, সেখানে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোনো কোনো জেলায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং কোনো কোনো জেলায় জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আছে। জেলা ছোট হোক, বড় হোক জেলা তো জেলাই। জেলা প্রশাসক তো দুই গ্রেডের থাকে না। পদটি হলো উপ-সচিব। এখানে ছোট জেলা বড় জেলা হিসেব করা হয়েছিলো। ছোট জেলায় ষষ্ঠ গ্রেডের ও বড় জেলায় পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তাদের জেলা ও জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন অফিসার হিসেবে রাখা হয়েছে। এখন বদলি করা হলে যার যার সম পর্যায়ে জেলাতেই দিতে হয়। এটা একটা সমস্যা।
মো. আনিছুর রহমান বলেন, ৪৫ জেলায় পঞ্চম গ্রেড নেই। তাই সেসব জেলায় পঞ্চম গ্রেডের পদ সৃষ্টি জন্য বলেছি। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের যেমন আছে। এতে সরকারের খুব একটা আর্থিক ব্যয় হবে না। কেননা, অনেকের বেতন বাড়তে বাড়তে আরো বেড়ে গেছে। অন্যদিকে উপজেলায় আমরা বলেছি, ৫২২টির মধ্যে ২৩০টি ‘ক’ শ্রেণির উপজেলায় ষষ্ঠ গ্রেডের করার জন্য বলেছি এবং এখন আছে নবম গ্রেডের কর্মকর্তা। এক্ষেত্রেও আর্থিক ব্যয় নেই বললেও চলে। এখানেও অনেকে বেতন বেড়ে বেড়ে এর চেয়ে বেশি হয়ে গেছে। এতে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একই রকম হবে।
তিনি বলেন, উপজেলায় অনেক পদশূন্য আছে। পাশের উপজেলার কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে কাজ ঠিকমতো করতে পারে না। তাই পিএসসির মাধ্যমে সেসব পদও পূরণ করা হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম