• মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

নড়িয়ায় দুই সহকারী পিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ:  ১০ মে ২০২৪, ২০:৫৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) উপজেলার নশাসন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের স্ত্রী সানজিদা তালুকদার বাদী হয়ে নড়িয়া থানায় ৩৫ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। পুলিশ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলায় একই পরিবারের তিন জন স্কুলশিক্ষকসহ চার জন আছেন। যাদের মধ্যে দুই শিক্ষক উপজেলা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে- বিঝারী উপসী তারা প্রসন্ন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমীন, তার ছেলে হিমেল শেখ, ভাই সুলতান মাহমুদ স্বপন শেখ ও চাচাতো ভাই হাফিজুর রহমান টুলু শেখকে। এদের মধ্যে সুলতান মাহমুদ নড়িয়ার মনিরাবাদ বাঘাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি সংঘর্ষের ঘটনার সময় চণ্ডীপুর উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে উপজেলা নির্বাচনের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। হাফিজুর রহমান বিঝারী উপসী তারা প্রসন্ন উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি ভড্ডা কান্দাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি শিক্ষক মানুষ। কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই আমি। আমাদের পরিবারের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার তালুকদারের বিরোধ রয়েছে। এ কারণে শত্রুতা থেকে আমাকে মামলার আসামি করা হয়েছে। অথচ ঘটনার সময় আমি নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করছিলাম।’

মামলার বাদী সানজিদা তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর এই মারামারি হয়েছে। ঘটনাটি সন্ধ্যার সময় হয়েছে। তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেছে আছে। এখন মামলা থেকে বাঁচার জন্য তারা যা খুশি তাই করতেছে।’

নড়িয়া থানার তদন্ত (ওসি) আবির হোসেন বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। ওই মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর পক্ষ একটি মামলার আবেদন করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলায় কোনো সহকারী সহকারী পিসাইডিং অফিসার আছে কিনা তা আমার জানা নেই। যদি মামলায় তাদের নাম থাকে তাহলে তদন্ত করে দেখা হবে।

নড়িয়া থানা ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, গত বুধবার নড়িয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জয়ী হয়েছেন শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের ১ নম্বর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হক। পরাজিত হন নড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও সাবেক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মামুন মোস্তফা। নশাসন ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার তালুকদার ও ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য কাদের মুন্সি মিলে মামুন মোস্তফাকে সমর্থন করেন। নশাসন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমীন রতন, সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন হাওলাদার ও তার ভাই এই ইউপির যুবদলের সভাপতি নুরুজ্জামান হাওলাদার ও মাহাবুব ফকিরসহ তাদের স্বজনরা ইসমাইল হকের পক্ষ নেন।

বুধবার ফলাফল ঘোষনার পর সন্ধ্যায় নুরুল আমীন রতন, লিটন হাওলাদার, নুরুজ্জামান হাওলাদার ও মাহাবুব ফকিরের নেতৃত্বে ডগ্রি বাজারে বিজয় মিছিল হয়। ওই মিছিল থেকে ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার তালুকদারের বাসভবন ও বিপণিবিতানে হামলা হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেসময় দেলোয়ার তালুকদারসহ দুই পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হন। পরে রাতে দেলোয়ারের সমর্থকরা ডগ্রি মাদবর কান্দিতে, মাদবর বাড়িতে হামলা করে। সেখানে তারা ১০টি বসত ঘর ভাঙচুর করে।

হামলা,মামলা,আহত

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close