• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বাংলাদেশ থেকে বেশি হারে পাট ও পাটপণ্য আমদানির আহ্বান

প্রকাশ:  ১১ অক্টোবর ২০২২, ১৭:৩৫
নিউজ ডেস্ক

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সাথে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) ডিসিসিআই গুলশান সেন্টারে ডিসিসিআই সভাপতি এবং ইরানের রাষ্ট্রদূতের মধ্যকার সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। এসময় ঢাকা চেম্বারের সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বার সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন হতেই বাংলাদেশ ও ইরান ডি-৮-এর সদস্য এবং সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের পাশাপাশি কৃষি, তথ্য-প্রযুক্তি, যোগাযোগ, এভিয়েশন প্রভৃতি খাতের উন্নয়নে দেশ দুটো একযোগে কাজ করতে পারে। দুদেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণে তিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের সাথে ইরানের চাবাহার বন্দরের সরাসরি জাহাজীকরণ ব্যবস্থা চালুকরণে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

ডিসিসিআই সভাপতি জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৮.৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ০.৩০ এবং ১৮.৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তৈরি পোশাক, কাঁচা পাট ও পাট পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হালকা প্রকৌশল যন্ত্রপাতি, চা, ঔষধ, সিরামিক প্রভৃতি পণ্য বাংলাদেশ হতে আরও বেশি হারে আমদানির জন্য ইরানের উদ্যোক্তাদের তিনি প্রতি আহ্বান জানান।

ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশি বলেন, সম্ভাবনা থাকা সত্বেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে তিনি দুদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের মধ্যকার যোগাযোগ বৃদ্ধি, বিটুবি সেশন আয়োজন ও বাণিজ্য প্রতিনিধিদল আদান-প্রদানের প্রস্তাব করেন।

তিনি জানান, বাংলাদেশের কৃষিখাতের আধুনিকায়ন এবং কৃষি পণ্যের বহুমুখীকরণে একযোগে কাজ করতে ইরান অত্যন্ত আগ্রহী। রাষ্ট্রদূত বলেন, বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারাই দেশ দুটোর অর্থনীতিকে আরও বেগবান করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তাই বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো আলোচনার মাধ্যমে দ্রুততর নিরসন করা প্রয়োজন।

পাটপণ্য আমদানি,বাংলাদেশ,ডিসিসিআই
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close