• মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালি লঘুচাপ, আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড়

প্রকাশ:  ১৭ মার্চ ২০২২, ০৪:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া লঘুচাপ ক্রমশই শক্তিশালি হয়ে ওঠছে। এটি ঘনীভূত হয়ে সোমবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। গতিমুখ অনুযায়ী উপকূলের দিকে এগিয়ে আসলে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ভারতের আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গতকাল (১৫ মার্চ) ভারত সাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যভাগে অবস্থান করছে। এটি ধীরে ধীরে পূর্ব ও উত্তর-পূর্বদিকে এগিয়ে ১৯ মার্চ সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগরে গভীর লঘুচাপে পরিণত হতে পারে। এরপর ২০ মার্চ আনন্দাম নিকোবর দ্বীপের কাছাকাছি এসে এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আর ২১ মার্চ সকালে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে নাম হতে পারে ‘অশনি’। নামটি প্রস্তাব করেছে শ্রীলঙ্কা। এর অর্থ হচ্ছে ‘বাজ বা বজ্র’।

ঘূর্ণিঝড়টি ২২ মার্চ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যেতে পারে। ২৩ মার্চ এটি আরও উত্তর ও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে যেতে পারে।

বর্তমানে লঘুচাপটির কেন্দ্রস্থলে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিমি পর্যন্ত উঠছে। এটি বেড়ে ২৩ মার্চ ৮০ কিমি পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ১৭ মার্চ থেকে সাগর উত্তাল হয়ে উঠবে। আর ২৩ মার্চ সেটি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস ঘূর্ণিঝড় নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পূর্বাভাস দেয়নি। আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি বর্তমানে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যভাগে অবস্থান করছে। এ ছাড়া পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে আগামী সপ্তাহে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বপশ্চিম-এনই

ঘূর্ণিঝড়
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close