যে লক্ষণ দেখা দিলে হতে পারে ওমিক্রন
সাধারণ সর্দি-জ্বর ও ফ্লু ভাইরাসের সঙ্গে লক্ষণ বা উপসর্গের মিল থাকায় ওমিক্রন নিশ্চিত হওয়া অনেকটাই কঠিন। ফলে অনেকে পাত্তা দিচ্ছেন না, করছেন না করোনা পরীক্ষা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন পরীক্ষা না করানোয় বাড়ছে সংক্রমণ।
২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটির অসংখ্যবার মিউটেশন (রূপ পরিবর্তন) হয়েছে। শুরুতে আলফা, বিটা, গামা, ডেল্টা এবং এখন ওমিক্রন। করোনাভাইরাস রূপ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেহের সাথে অনেকটা খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এর ফলে ভাইরাসটির উপসর্গেও এসেছে পরিবর্তন।
সম্পর্কিত খবর
প্রথম দিকে করোনা মানেই কাশি আর শ্বাসকষ্ট থাকলেও মিউটেশনের কারণে ওমিক্রন আমাদের যে ধরনের উপসর্গ দেখাচ্ছে, তা অনেকটা ঠান্ডা লাগার যে কিছু উপসর্গ হয়, অনেকটা সেরকমই। যে কারণে সাধারণ মানুষ অনেকটাই বিভ্রান্ত আসলেই এটি ওমিক্রন নাকি সাধারণ ঠান্ডা, যা আমরা শীতকালে দেখে থাকি!
ওমিক্রনের লক্ষণ-উপসর্গ নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গবেষণা চলছে। কিন্তু সাধারণত ভাইরাস যখন মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটায়, তখন তার উপসর্গ নির্ভর করে ভাইরাসটি দেহের কোন টিস্যুকে ড্যামেজ করছে। ডেল্টা ধরন সাধারণত ওই স্থানে আক্রমণ করত, যেখানে অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিবর্তন ঘটতো। যে কারণে ডেল্টায় আক্রান্ত হলে মানুষের কাশি ও শ্বাসকষ্ট বেশি হতো। কিন্তু ওমিক্রনে মিউটেশনের জন্য কিছুটা ব্যতিক্রম হয়েছে।
এ পর্যন্ত ওমিক্রনে ১৫টি মিউটেশন হয়েছে, যেখানে ডেল্টাতে হয়েছে মাত্র দু’টি। মিউটেশনের কারণে ওমিক্রন আমাদের শ্বাসতন্ত্রের একটু উপরিভাগে অবস্থান করছে। ফলে সাধারণ ফ্লু ভাইরাসে যে ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়, ওমিক্রনেও প্রায় সেগুলোই দেখা দিচ্ছে।
ওমিক্রনের উপসর্গ হচ্ছে, মাথাব্যথার সঙ্গে নাক নিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং গলার ভেতরে এক ধরনের চুলকানি অনুভূত, কাশি। এ ছাড়া চুড়ান্ত নিশ্চিত হতে দ্রুত করিয়ে নিতে হবে করোনা পরীক্ষা।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেএস