• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সর্বজনীন পেনশনে নতুন চাকরিজীবীদের ‘প্রত্যয়’ স্কিম চালু

প্রকাশ:  ২১ মার্চ ২০২৪, ০০:১০
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় নতুন যুক্ত হওয়া প্রত্যয় স্কিমের রূপরেখা ঘোষণা করেছে সরকার। যাদের ন্যূনতম ১০ বছর চাকরি অবশিষ্ট আছে, তারা আগ্রহী হলে এ স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়া আগামী ১ জুলাইয়ের পর স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরিতে যোগদান করবেন, তাদের সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমের আওতায় আনা হয়েছে।

দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রত্যয় স্কিমের রূপরেখা ঘোষণা করেছে সরকার। বুধবার (২০ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিষয় জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাদের ন্যূনতম ১০ বছর চাকরি অবশিষ্ট আছে, তারা আগ্রহ প্রকাশ করলে প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আগামী জুলাইয়ের পর স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থার চাকরিতে যারা যোগদান করবেন, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় প্রত্যয় স্কিমে যুক্ত করা হবে।

সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় যা থাকছেসর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় যা থাকছে এতে আরও বলা হয়, প্রত্যয় স্কিম চালুর ফলে বিদ্যমান কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না; বরং তাদের বিদ্যমান পেনশন বা আনুতোষিক সুবিধা অক্ষুণ্ন থাকবে।

বিদ্যমান ব্যবস্থায় খুব কমসংখ্যক স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা ও তাদের অধীনস্থ অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে পেনশন স্কিম আছে। এ ধরনের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের কর্মরত-কর্মচারীরা আনুতোষিক স্কিমের আওতাভুক্ত এবং তাদের জন্য সিপিএফ ব্যবস্থা প্রযোজ্য। এ ব্যবস্থায় কর্মচারীরা চাকরি শেষে অবসর সুবিধা হিসেবে এককালীন আনুতোষিক পান; কিন্তু মাসিক পেনশন পান না। ফলে অবসরোত্তর জীবনে প্রায় ক্ষেত্রেই আর্থিক অনিশ্চয়তার মুখে পড়েন।

প্রত্যয় স্কিমে অংশ নিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার কর্মকর্তা বা কর্মচারীর মূল বেতনের ১০% বা সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা কাটা হবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা দেবে। সেই টাকা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্পাস হিসাবে জমা করবে। এ প্রক্রিয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীর পেনশন ফান্ড গঠিত হবে।

এই ফান্ড জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লাভজনক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্য মুনাফা এবং চাঁদা হিসাবে জমাকৃত অর্থের ভিত্তিতে পেনশন দেওয়া হবে।

বিদ্যমান সিপিএফ (কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ড ফান্ড) ব্যবস্থায় কর্মচারী মূল বেতনের ১০% এবং প্রতিষ্ঠান মূল বেতনের ৮.৩৩% দিয়ে থাকে। প্রত্যয় স্কিমে প্রতিষ্ঠান দেবে মূল বেতনের ১০%, যা সিপিএফ ব্যবস্থা থেকে ১.৬৭% বেশি।

এই স্কিমে একজন ব্যক্তি একটি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর মাসিক ২,৫০০ টাকা নিজ বেতন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে একই পরিমাণ টাকা ৩০ বছর ধরে চাঁদা দিলে তিনি অবসরে যাওয়ার পর, অর্থাৎ ৬০ বছর বয়স থেকে মাসিক ৬২,৩৩০ টাকা হারে পেনশন পাবেন।

অর্থনীতি,সরকারি চাকরি,সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close