• রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কৃষিমন্ত্রী: ১০ বছরে পাটের উৎপাদন বেড়েছে ৩৩ লাখ বেল

প্রকাশ:  ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

সরকারের পাটবান্ধব নীতির কারণে গত ১০ বছরে দেশে এর উৎপাদন ৩৩ লাখ বেল বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।

তিনি বলেন, “২০২২-২৩ অর্থবছরে পাটজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে। এরমধ্যে জিওটেক্সটাইলের অভ্যন্তরীণ বাজার প্রায় ৭০০ কোটি টাকার।”

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে ‘‘পাট গবেষণায় জিনোম সেন্টারের সাফল্য ও সম্ভাবনা’’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানান মন্ত্রী।

ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের পাটবান্ধব নীতির কল্যাণে বিগত ১০ বছরে পাটের উৎপাদন বেড়েছে ৩৩ লাখ বেল। ২০১৫ সালে যেখানে ৫১ লাখ বেল পাট উৎপাদন হতো, সেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে পাট উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৮৪ লাখ বেল। এর মধ্যে প্রায় ৪৩ লাখ বেল পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে।”

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য ২০০৯ সালে পাটের জিনোম সিকুয়েন্সিং-এর কার্যক্রম শুরু করান এবং জিনোম সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। এর ফলে ২০১০ সালে বিশ্বে সর্বপ্রথম পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন হয়। জীবন রহস্য উন্মোচনের ফলে দেশে চাষোপযোগী উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবনের ব্যাপক সুযোগ তৈরি হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “দেশের মাটিও পাট চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কাজেই পাটের উৎপাদন বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে।”

বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “পাটের উৎপাদন আরও বাড়াতে উচ্চফলনশীল জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। এলক্ষ্যে গবেষণায় আরও মনোযোগী হতে হবে এবং জিনোম সিকুয়েন্সিং ল্যাবের পুরোপুরি ব্যবহারে আপনাদেরকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।”

পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কাজ চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমরা এখনো পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারিনি। চাহিদার সিংহভাগ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। সেজন্য, পাটবীজের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে, পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং কম জমিতে অধিক পরিমাণ পাট উৎপাদনের লক্ষ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে সরকার।”

মন্ত্রী বলেন, “পলিথিনের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পাটের আঁশের বহুমুখী ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “বর্তমানে জিওটেক্সটাইলের অভ্যন্তরীণ বাজার প্রায় ৭০০ কোটি টাকার। শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্বজুড়ে নানা কাজে ‘মেটাল নেটিং’ বা পলিমার থেকে তৈরি সিনথেটিক জিওটেক্সটাইলের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ও উৎকৃষ্ট জুট জিওটেক্সটাইলের কদর বাড়ছে। এছাড়া, বাংলাদেশ থেকে পাটকাঠির কালো ছাই বর্তমানে চীন, তাইওয়ান, জাপান, হংকং ও ব্রাজিলে রপ্তানি হচ্ছে।”

অনুষ্ঠানে কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব রেহানা পারভীন, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আব্দুল আউয়াল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অর্থনীতি,কৃষিপণ্য,পাট
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close