প্রাকৃতিক এই ৪ তেল ব্যবহারে গজাবে নতুন চুল
![](/assets/news_photos/2024/06/21/Untitled-2 copy-image-1718966942.jpg)
চুল পড়া একটি দৈনন্দিন সমস্যা। আবহাওয়া এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের কারণে আজকাল চুল পড়ার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছেই। কিছু মৌলিক প্রাকৃতিক তেল নিয়মিত ব্যবহারে কমতে পারে চুল পড়ার সমস্যা। পাশাপাশি ঘন, লম্বা এবং স্বাস্থ্যকর চুলের জন্যও তেল অপরিহার্য। তেলে থাকা প্রাকৃতিক নির্যাসগুলো মাথার ত্বককে পরিষ্কার এবং ময়শ্চারাইজ করে। এতে নতুন চুল গজায় ও চুল দ্রুত বাড়ে। জেনে নিন কোন কোন তেল ব্যবহার করবেন চুলের যত্নে।
বাদাম তেল
সম্পর্কিত খবর
রোজমেরি তেল
চুলে পুষ্টি জোগাতে রোজমেরি তেল অপরিহার্য। ফলিকলগুলোর সঠিক বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্যকর স্থল তৈরি করে এই তেল। খুশকিসহ মাথার ত্বকের গভীরে থাকা সমস্যাগুলোর সাথে লড়াই করে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে রোজমেরি অয়েল। কয়েক ফোঁটা রোজমেরি তেল অন্য যে কোনও ক্যারিয়ার অয়েল যেমন নারকেল বা বাদাম তেলে মিশিয়ে নিন। যোগ করুন কয়েক ফোঁটা অ্যালোভেরা জেল। মিশ্রণটি মাথার ত্বক ও চুলে লাগান।কোল্ড-প্রেসড ক্যাস্টর অয়েল পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, রিসিনোলিক অ্যাসিডসহ আরও বিভিন্ন ধরনে রুপকারি উপাদান রয়েছে। রিসিনোলিক অ্যাসিড হচ্ছে ওমেগা ৬ এবং ওমেগা ৯ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ একটি উপাদান যা চুলের আর্দ্রতা এবং তেল ধরে রাখে। ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুল পড়ার সমস্যা প্রতিরোধ করে। নারকেল তেলের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগান। কয়েক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
জলপাই তেল
অলিভ অয়েল ভিটামিন এ, ই এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এই তেল চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুল মেরামত করে। অলিভ অয়েল চুল ময়েশ্চারাইজড রাখে। এতে থাকা অলিক অ্যাসিড ডিএইচটি হরমোনকে বাধা দেয় যা পুরুষদের চুলের বৃদ্ধিতেও কার্যকর। অলিভ অয়েলে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা খুশকির মতো সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে, চুলের শুষ্কতা কমায় এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।