• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

ডিবি অভিযানে ভেস্তে গেলো জাল নোট চক্রের মাস্টারপ্ল্যান

প্রকাশ:  ১৩ এপ্রিল ২০২২, ০১:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীতে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা তৈরির লক্ষ্য নিয়েছিল চক্রটি। উদ্দেশ্য ছিল ঈদের বাজারেই বিপুল পরিমাণ এই জাল নোটগুলো দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেবেন তারা। তবে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে ভেস্তে গেছে পরিকল্পনা। সেই সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন জাল নোট তৈরি চক্রের চার সদস্য।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার লালবাগে গোপনে পরিচালিত জাল নোট তৈরির ওই কারখানায় এই অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের একটি টিম। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিবির গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান।

পরে সেখান থেকে বিভিন্ন মূল্যমানের প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশি জাল টাকা ছাড়াও দেড় লাখ ভারতীয় জাল রুপি জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে জাল টাকা ও রুপি তৈরিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার ছাড়াও বিভিন্ন রকমের কালি, স্ক্রিন ফ্রেম, বিশেষ ধরনের কাগজ, কেমিক্যালস, স্ক্যানার মেশিন ও কাটার-স্কেলও জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় গ্রেফতাররা হলো- জাহাঙ্গীর আলম, আলী হায়দার, তাইজুল ইসলাম লিটন ও মহসিন ইসলাম মিয়া।

ডিবির গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান জানান, লালবাগে পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে রেখেছিল গোপনে জাল মুদ্রা তৈরির এই চক্রটি। তাদের উদ্দেশ্য ছিল রমজান ও ঈদ উপলক্ষে বিপুল পরিমাণে জাল টাকা তৈরি করা। পরে সেগুলো সমগ্র দেশে সরবরাহ করতো। কিন্তু তার আগেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

গুলশান ডিবির এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারদের মধ্যে লিটন অষ্টম শ্রেণি পাস। সেই কারখানার মূল পরিচালক এবং তিনি নিজেও মেকার। তিনি বিশেষ কাগজ, নিরাপত্তা সুতা তৈরির জন্য ডায়াস কেনেন। পরে জলছাপ দিয়ে বিশেষ কাগজের জাল টাকা যেত প্রিন্টিংয়ে।

লাখ টাকার জাল নোট ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হতো জানিয়ে ডিবির গুলশান বিভাগের ডিসি বলেন, লিটনের কাছ থেকে জাহাঙ্গীর ও মহসিন জাল টাকা ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজারে কিনে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা লাভে বিক্রি করতেন। এছাড়া মেকার তাইজুল ইসলাম ওরফে লিটন জাল রুপিগুলো পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি করেছিল।‌ এগুলো বান্ডিল আকারে বড় ডিলারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজও করতো সে।

এ ঘটনায় গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছেন গুলশান ডিবির ডিসি মশিউর রহমান

পূর্ব পশ্চিম/জেআর

জাল নোট
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close