ফখরুল ও খসরুকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে দুই দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এই আদেশ দেন।
সম্পর্কিত খবর
এর আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার পুলিশের উপপরিদর্শক সুমিত কুমার আসামিদের আদালতে হাজির করে গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
মির্জা ফখরুলের পক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান আসাদ, মহাসিন মিয়া, ইকবাল হোসেন, ওমর ফারুক ফারুকী, মিয়া খোরশেদ আলমসহ প্রমুখ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করে জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে দুই দিন জেলগেটে জিজ্ঞেসাবাদের নির্দেশ দেন।
পল্টন থানার আদালতের নিবন্ধন শাখার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসাআই) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে এদিন বেলা একটার দিকে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। এরপর শুনানিকালে তাদের এজলাসে তোলা হয়।
গত ২৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলকে গুলশানের নিজ বাসা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর হত্যা ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর তাকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগারে রয়েছে।
গত ২ নভেম্বর রাত পৌনে একটার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আমির খসরুকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ৩ নভেম্বর তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৯ নভেম্বর রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ শুরুর আগেই দুপুর থেকে কাকরাইলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন পুলিশের ৪১ জন ও আনসারের ২৫ জন সদস্য। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক। সংঘর্ষে হাজারের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি বিএনপির।