• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

শিক্ষার্থী সানির ১৫ বন্ধু রিমান্ডে

প্রকাশ:  ১৬ জুলাই ২০২২, ১৯:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

পদ্মা নদীতে ডুবিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানিকে হত্যার অভিযোগে তার ১৫ জন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামানের আদালতে শনিবার আসামিদের রিমান্ড ও জামিন শুনানি হয়। বিচারক ১৫ আসামিকে জামিন না দিয়ে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

এর আগে পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দোহার থানার কুতুবপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শামছুল আলম আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানান। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড আদেশ দেন।

রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হলেন শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, শরীফুল হোসেন, মো. রুবেল, মো. নুরুজ্জামান, মো. সজীব, মো. নাসির, মো. মারুফ, আশরাফুল আলম, মো. নোমান, মো. জাহিদ, এ টি এম শাহরিয়ার মোমিন, মো. মারুফুল হক, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।

তদন্ত কর্মকর্তা শামছুল আলম বলেন, ‘বুয়েট শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানি সাঁতার জানতেন না। আসামিরা গত ১৪ জুলাই কৌশলে সানিকে পদ্মা নদীর মৈনটঘাটে ঘুরতে নিয়ে যান। পরিকল্পনা মোতাবেক আসামিরা সানিকে পদ্মা নদীর পানিতে ফেলে হত্যা করেন।’

পুলিশ জানায়, গত ১৪ জুলাই ১৫-১৬ জন যুবক পদ্মা নদীতে ঘুরতে যান। তাদের মধ্যে থাকা সানি নামের বুয়েট শিক্ষার্থী নিখোঁজ থাকায় রাতে স্থানীয়রা দোহার থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডেকে নেয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে। তবে রাতে সানিকে উদ্ধার সম্ভব হয়নি।

শুক্রবার সকালে সানির মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল। সুরতহাল শেষে বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।

মরদেহ উদ্ধারের পর শুক্রবার বিকেলে সানির বড় ভাই হাসাদুজ্জামান দোহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয় সানির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ১৫ বন্ধুকে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে।

পূর্বপশ্চিম/ম

বুয়েট
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close