ব্লিঙ্কেন সিউলে থাকা অবস্থায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উ. কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া নিজেদের পূর্ব জলসীমায় স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।দেশটি এমন সময় এই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে যখন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দক্ষিণ কোরিয়া সফরে আছেন। ব্লিঙ্কেন সিউলে গণতন্ত্র সম্মেলনের উদ্বোধন করতে দেশটিতে গেছেন। খবর আল-জাজিরার।
সোমবার (১৮ মার্চ) যুক্তরাস্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানান, পূর্ব সাগরের দিকে একটি অনির্দিষ্ট ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। তিনি উল্লেখ করেন, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি যে জলসীমায় পড়েছে তা জাপান সাগরের অংশ। জাপানের কোস্টগার্ডও উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সম্পর্কিত খবর
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছে, প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় গণতন্ত্রের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সফরের খবরে উত্তর কোরিয়া এ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া কথিক ‘ফ্রিডম শিল্ড’ শিরোনামে ১১ দিনব্যাপী যৌথ এক সামরিক মহড়া শেষ করে। সেই মহড়া শেষের কয়েকদিন পরই এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল পিয়ংইয়ং।
উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার নিন্দা জানিয়ে আসছে এবং এই মহড়াকে আগ্রাসনের অনুশীলন বলছে।
পিয়ংইয়ং চলতি মাসের শুরুতে সিউল এবং ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, এই বছরের ফ্রিডম শিল্ড মহড়ার জন্য ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে। এবারের মহড়ায় গত বছরের চেয়ে দ্বিগুন সেনা অংশ নিয়েছে। বর্তমানে মহড়াস্থলে প্রায় ২৭ হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে।
চলতি বছর ১৪ জানুয়ারি একটি কৌশলগত হাইপারসনিক ওয়ারহেডসহ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাসহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। সর্বশেষ পরীক্ষাটি চালাল সোমবার।
এদিকে, ব্লিঙ্কেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন- উভয়েই গণতন্ত্রকে উৎসাহিত করার জন্য কীভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
গণতন্ত্রের শীর্ষ সম্মেলন ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একটি উদ্যোগ। আগের বছরগুলোতে এ শীর্ষ সম্মেলনে থাইল্যান্ড এবং তুরস্ককে বাদ দেওয়ার কারণে অনেক সমালোচনার সম্মুখীন হন তিনি।