পশ্চিমাদের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে ইয়েমেনে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ
ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার হঠাৎ করে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ আওয়াদ বিন মুবারককে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মঈন আব্দুলমালিক সাঈদের স্থলে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার জেরে পশ্চিমাদের সঙ্গে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের উত্তেজনা চলছে। এই হামলার জেরে ইয়েমেনে হুতিদের সামরিক স্থাপনায় একের পর এক পাল্টা হামলা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এমন উত্তেজনার মধ্যে আহমেদ আওয়াদকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো।
সম্পর্কিত খবর
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ইয়েমেনের প্রেসিডেন্সিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিল থেকে জারি করা এক আদেশে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আহমেদ আওয়াদকে দেওয়া হয়েছে। সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন। তবে প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তনের কোনো কারণ জানানো হয়নি।
আহমেদ আওয়াদ যুক্তরাষ্ট্রে ইয়েমেনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি হুতি বিদ্রোহীদের কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত। ২০১৫ সালে হুতিরা তাকে অপহরণ করলে তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়ে ওঠেন। অপহরণের সময় তিনি ইয়েমেনের প্রেসেডেন্টের চিফ অব স্টাফ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অবশ্য তখন প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বু মনসুর হাদির সঙ্গে তার ক্ষমতার দ্বন্দ্ব চলছিল।
হুতিরা আহমেদ আওয়াদকে অপহরণ করলে ইয়েমেনে রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়। হুতিদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে সরকারি বাহিনী। এর জেরে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট ও সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। রাজধানী সানাসহ দেশটির বেশির ভাগ এলাকা হুতিদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
২০১৮ সালে আহমেদ আওয়াদ জাতিসংঘে ইয়েমেনে দূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নাভান্তি গবেষণা গ্রুপের ইয়েমেন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ আল-বাশা বলেছেন, ইয়েমেনে সামরিক হস্তক্ষেপ করা সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের স্থপতিদের একজন আহমেদ আওয়াদ। তিনি হুতিদের দীর্ঘদিনের শত্রু। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নিয়োগ ভালোভাবে নেবে না হুতিরা। এমনকি এই কারণে হুতি ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে।