• শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিলেন প্রতিবাদী মুসকান

প্রকাশ:  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬:২৩ | আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬:৪৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের কর্ণাটকে গেরুয়া ওড়না পরা হিন্দু ছাত্রদের হিজাব বিরোধিতার প্রতিবাদ করা মুসলিম ছাত্রী মুসকান সেদিনের ঘটনার বর্ণনা জানিয়েছেন। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এই তরুণী।

কর্ণাটকের প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের বাণিজ্য শাখার ছাত্রী মুসকান বলেন, আমি যখন কলেজে ঢুকছিলাম, তখন বাধা দেওয়া হয়। জিজ্ঞেস করা হয়, আমি কেন বোরখা পরে এসেছি? কিন্তু আমি এ সব নিয়ে মোটেও চিন্তিত নই।

তিনি বলেন, আমাকে দেখেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। আমিও পাল্টা ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিতে থাকি। তার দাবি, উপস্থিত গেরুয়া উত্তরীয় পরিহিতদের কয়েক জনকে চিনতে পেরেছেন তিনি। কারণ তারাও মুসকানের সহপাঠী। তবে বেশির ভাগই বহিরাগত।

মুসকান বলেন, পড়াশোনা করা আমাদের অগ্রাধিকার। এক টুকরো কাপড়ের জন্য (হিজাব) ওরা আমাদের পড়াশোনা করার অধিকারটাই ছিনিয়ে নিতে চায়।

স্কুল-কলেজে হিজাব পরে আসা যাবে না, এই দাবিতে গত কয়েক দিন ধরে পথে নেমেছে কর্নাটকের কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। শান্তিপূর্ণ অবস্থান থেকে তা ক্রমশ হিংসাত্মক আকার নিচ্ছে। তেমনই ঘটনা ঘটেছিল মাণ্ড্য প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজে। সেখানে হিজাব পরিহিত মুসকানকে ঘিরে ধরে এক দল মানুষের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পাল্টা মুসকানও ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দেন। সেই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

মুসকান আরও বলেন, গত সপ্তাহ থেকে এটা শুরু হয়েছে। আমি বরাবরই বোরখা আর হিজাব পরতে অভ্যস্ত। ক্লাসে বোরখা খুলে হিজাব পরে নিই। হিজাব এখন যেন আমার অঙ্গ হয়ে গেছে। কলেজের অধ্যক্ষও কোনো দিন কিছু বলেননি। বহিরাগতরা এটা শুরু করেছে।এই পরিস্থিতিতে অধ্যক্ষ আমাদের বোরখা আনতে মানা করেছেন। কিন্তু হিজাবের দাবিতে আমাদের প্রতিবাদ চালু থাকবে।

এদিকে হিজাব পরা নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে কর্ণাটক সরকার তিনদিন রাজ্যের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অপরদিকে হিজাব পরার অধিকার চেয়ে ছাত্রীরা কর্ণাটক হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছে। বিষয়টি এখন আদালতের বিচারাধীন। বিচারপতি জানিয়েছেন, তিনি যতদিন রায় না দিচ্ছেন, ততদিন যেন রাজ্যে শান্তি বজায় থাকে। সব পক্ষ যেন ধৈর্য ধরেন।

কংগ্রেস মুখপাত্র আব্বাস হাফিজ বলেছেন, এভাবে স্কুলে ও কলেজে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। কয়েকশ বছর ধরে মুসলিম মেয়েরা হিজাব ও শিখরা পাগড়ি পরেন। তাতে কোনো অসুবিধা হয়নি। এখন কেন হবে?'


পূর্বপশ্চিম/এসকে

মুসকান,হিজাব
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close