বাংলা কবিতায় নদ-নদীর যৌবনালেখ্য
নদীকে আমরা ছেলেবেলায় বলতাম গাং, গাঙ বা গাঙ্গ। আসলে গাঙ্গ শব্দটি এসেছে গঙ্গা থেকে। এ অর্থে গঙ্গাও নদীর নামবাচক শব্দ। সাধারণ নদী অর্থে গাঙ্গ, দরিয়া, স্রোতস্বিনী, কল্লোলিনী শব্দগুলোই ব্যবহৃত হয়। নদীর সাথে আমার শৈশবের শরীর অবিচ্ছেদ্য এক মায়ার সম্পর্কে জড়িয়ে ছিল; সে বড়ো আনন্দের। আমি যে গ্রামে জন্মেছিলাম, সুনামগঞ্জের হাওরের নিম্নভূমির একেবারে অজপড়া সে; নাম আবিদনগর। আমাদের বাড়ি গ্রামের উত্তর মাথায়, উত্তরবাড়ী বলে সবাই চেনে, এর পেছনে খাল, এরপর ছোট হাওর আর সামনে নদী। সুমেশ্বরী নদী। একটি ছোট্ট নাম। অথচ কতো গভীর, কতো প্রশস্ত ব্যঞ্জনায় সে ছড়িয়ে আছে আমার জীবনে। আমার গ্রামের এই নদীর মতো এমনই কতো কতো নদী এদেশের মানুষের সঙ্গে সখ্যতার চাদরে জড়ানো, সেই হিসেব করা কি সহজ? কবি রফিক আজাদ ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমার শৈশবের সুমেশ্বরীর মতোই অন্য এক সোমেশ্বরী নদীকে বর্ণনা করেছেন। সেখানে দেবতা শ্রেষ্ঠ তাতারারাবুগার কথা ওঠে এসেছে। সোমেশ্বরী নদীর সঙ্গে মানুষের জীবনযাপনের কথাই ওঠে এসেছে-
‘সোমেশ্বরী নামে এক নদী
সম্পর্কিত খবর
মানুষেরা ভুলে গিয়ে প্রিয় দেবতারে
ভুলে বসতিটি গড়ে করে ভুলে-ভরা তুচ্ছ জীবনযাপন!’
সে যাই হোক; ইতিহাস ঘাঁটলে আমরা দেখি, যেকোনো নদীর গঠনরূপ, পর্যায়, প্রকৃতি ও ক্রিয়াকাণ্ড নিয়তই বিবর্তনশীল। তাছাড়া নদ-নদীর এই নিরন্তর ছুটে চলার সঙ্গে মানুষ নিবিড়ভাবে একাত্ম হয়ে আছে প্রাচীন কাল থেকেই। এদেশের বেশির ভাগ নদ-নদীর জন্ম পাহাড়ে। তবে জন্ম যেখানেই হোক না কেন, এসব নদীর উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। প্রেমিকা এসব নদী ঘুরে ফিরে প্রেমিক সাগরের কাছে ছুটে চলেছে কতো দিন ধরে। আর আমাদের দেশের অধিকাংশ নদীর উৎপত্তি হয়েছে ভারতে। একমাত্র ব্রহ্মপুত্র নদ এসেছে তিব্বত থেকে। এছাড়া বান্দরবান জেলার কিছু ছোট নদী মায়ানমার থেকে আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে। উত্তরবঙ্গের দু-একটি ছোট নদী এসেছে ভূটান থেকে ভারত হয়ে। এজন্য আমাদের বড় বড় নদ-নদীর উৎস খুঁজতে হলে যেতে হবে ভারত ও তিব্বতে।নদীমাতৃক বাংলাদেশ বলতে এদেশে নদীর যে ভূমিকা, যে ব্যাপকতা বোঝায়; সেই অর্থে প্রশ্ন জাগে, নদী বলতে আমরা আসলে কী বুঝি? বাংলা একাডেমির ব্যবহারিক বাংলা অভিধান পরিমার্জিত সংস্করণে নদী প্রসঙ্গে লেখা হয়েছে- নদ (নদ) নদী শব্দের পুংলিঙ্গ; কপোতাক্ষ, বলেশ্বর, দামোদর, সিন্ধু, প্রহ্মপুত্র প্রভৃতি নদ নামে অভিহিত। আবার, নদী [নোদি] পাহাড়, হৃদ প্রস্রবণ প্রভৃতি থেকে উৎপন্ন ও নানা জনপদের জলস্রোত; চারক্রোশের অধিক বাহিনী জলনালি, স্বাভাবিক জলস্রোত; স্নোতস্বিণী; তটিনী; তরঙ্গিনী, প্রবাহিনী। নদ-নদী প্রসঙ্গে আভিধানিক ব্যাখ্যা দীর্ঘায়িত না করে বরং নদীবিষয়ক গবেষক মাহমুদ শামসুল হকের বক্তব্য তুলে ধরছি; নদী গবেষক মাহমুদ শামসুল হক তার নদী গ্রন্থে লিখেছেন-‘‘সাধারণ অর্থে যে জলপ্রবাহ নাদ বা কলধ্বনি করে প্রবাহিত হয় ‘তাই নদী’ বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা অনুসারে পণ্ডিতরা পুরুষবাচক নদ শব্দটির উদ্ভাবন করেছেন। দুয়ে মিলে নদ-নদী’’।
আমরা জানি, পৃথিবীর আদি সভ্যতা ও মনুষ্য বসতি এই নদী কেন্দ্রিক। নদী তীরেই প্রাচীন সভ্যতাগুলো গড়ে ওঠেছিল। যেমন- ইরাকের ইউফ্রেতিস-তাইগ্রিস নদের সুমেরীয় সভ্যতা, সিন্ধুনদের মোয়েনজদারো ও হরপ্পা সভ্যতা, চীনের হোয়াংহো ও ইয়াংসি নদী সভ্যতা এবং মিশরীয়দের নীল নদের সভ্যতা। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে যে, প্রাচীন মানুষ প্রধানত যাতায়াতের সুবিধার্থেই নদীর তীরে বসতি গড়ে তুলেছিল। নদীর সুপেয় পানি এবং চাষাবাদের জন্য পানি- এ দুটো কারণ এক্ষেত্রে অগ্রণি ভূমিকা পালন করেছে। জীবনের সঙ্গে নদীর এমন ঘনিষ্ঠতা থেকেই সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য কবিতা। এই সূত্র ধরেই সম্ভবত বাংলা কবিতায় নদ-নদীর প্রভাব ও প্রতিপত্তি হয়ে ওঠেছে অপ্রতিরোধ্য। অন্যদিকে, সমাজকে উপস্থাপন করতে গিয়েও নদী আর তার পারিপার্শ্বিকতার অবস্থান অনিবার্য হয়ে ওঠেছে। ফলে কবিতায় নদীর অবস্থান চোখে পড়ার মতো।
বাংলা সনেটের প্রাণপুরুষ কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত তার বিভিন্ন কবিতায় নদীর প্রসঙ্গ এনেছেন তা হয়তো নদীর প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসার কারণেই। যেমন- মেঘনাদ কাব্যে নদীর প্রসঙ্গ এসেছে। তাছাড়া মাইকেলের হৃদয়ের সবচেয়ে করুণঘন অভিব্যক্তি ঘটেছে তার বিখ্যাত কবিতা ‘কপোতাক্ষ নদে’ । প্রবাসে বসে কবি তার হৃদয়ের উচ্ছ্বাসে কপোতাক্ষ নদের তরঙ্গ ধ্বনি শুনতে পেয়ে কবিতায় উল্লেখ করেছেন কপোতাক্ষ নদের কথা-‘সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে।
সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে,
বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদে-দলে,
কিন্তু এ দেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?
দুগ্ধ-স্রোতরূপী তুমি জন্ম-ভূমি-স্তনে!’
আমাদের কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নদী নিয়ে অসংখ্য সাহিত্য রচনা করেছেন। তার সাহিত্যকর্মে নদী এতোবার এসেছে যে, মনে হয় রবীন্দ্র মানসের সবচেয়ে বড় প্রেরণা ছিল নদী। অবশ্য এর কারণ যখন তিনি জমিদারি দেখাশুনা করার জন্যে তৎকালীন পূর্ব বাংলায় ছিলেন তখন সেখানে তিনি পদ্মার উপর বোটে বসে তার সময় কাটিয়েছেন। তিনি মানব মনের তৃপ্তি-অতৃপ্তির বিষয়টিকে নদীর এপার-ওপারের লোভনীয় হাতছানির অনুষঙ্গ হিসেবে প্রকাশ করে কবিতায় বলেছেন-
‘নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস
ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস।
নদীর ওপার বসি’ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে;
কহে, যাহা কিছু সুখ সকলি ওপারে’।এছাড়া রবীন্দ্রনাথ নদীর বর্ণনা দিয়ে ‘নদী’ শীর্ষক ৩০০ পঙক্তি সংবলিত একটি বিখ্যাত কবিতা লিখেছেন সেখানে পদ্মা নদী সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা রয়েছে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায়ও আমরা নদীকে নানান বর্ণনায় দেখতে পাই। তার নদী বিষয়ক কবিতার মধ্যে ‘কর্ণফুলী’ কবিতাটিকে কবির অন্যতম উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। কর্ণফুলী যেনো কবির প্রেয়সী; শিল্পের ব্যঞ্জনায় আবিষ্ট করে তার কাছে বিরহের বার্তা নিবেদন করতে গিয়ে কবির বেদনাকাতর হৃদয় উচ্ছ্বসিত হয়েছে। নজরুল তার প্রেমের বিচিত্র অনুভবকে কর্ণফুলী কবিতায় রূপায়িত করেছেন। তিনি কখনো কখনো কর্ণফুলীর যৌবনোচ্ছলে লীলাময়ী মূর্তির মতো কর্ণফুলী নামের সঙ্গে স্মৃতিময় সত্তায় জড়িত বেদনামধুর ঘটনার কথা স্মরণ করেছেন-
‘ওগো কর্ণফুলী!
তোমার সলিলে পড়েছিল কবে কার কান-ফুল খুলি।
তোমার স্রোতের উজানে ঠেলিয়া কোন্ তরুণী কে জানে,
সাম্পান নায়ে ফিরেছিল তার দয়িতের সন্ধানে?
আনমনা তার খুলে গেল খোঁপা কান-ফুল গেল খুলি
সে ফুল যতনে পরিয়া কর্ণে কি কর্ণফুলী’।
এবার প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশ। তার কবিতায় নদী বিচিত্র রূপ নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে। বিশ্বপ্রকৃতির সঙ্গে নদীর অন্তরঙ্গ সম্পর্ককে কবি নিজের কাব্যানুভূতির সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে নদীকে উপলব্ধি করেছেন-
‘গভীর অন্ধকারের ঘুম থেকে নদীর ছলচ্ছল শব্দে জেগে উঠলাম আবার!
তাকিয়ে দেখলাম পাণ্ডুর চাঁদ বৈতরণীর থেকে
তার অর্ধেক ছায়া গুটিয়ে নিয়েছে যেন
কীর্তিনাশার দিকে।ধানসিঁড়ি নদীর কিনারে আমি শুয়েছিলাম- পউশের রাতে
কোনদিন আর জাগবো না জেনে’।
আমাদের প্রিয় কবি আহসান হাবীবের কবিতায়ও নদীর প্রসঙ্গ এসেছে। তার নদী বিষয়ক বিখ্যাত কবিতাটি হয়তো আমাদের সকলেরই জানা। সেই কবিতাটি হচ্ছে- “মেঘনা পারের ছেলে”। এই কবিতায় দেখা যায়, কবির দৃষ্টিকে মেঘনা তার দু’তীরের মানুষ দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। কবি তাই নিজেকে মেঘনা পারের একটি ছেলে হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন রূপক হিসেবে। যার ভেতর দিয়ে মেঘনা পারের মানুষের জীবনচিত্রের বাস্তবিক রূপ ওঠে এসেছে। এ কবিতার কয়েকটি লাইন আমাদের মনকে দোলা দিয়ে যায়-
‘আমি মেঘনা পারের ছেলে
মেঘনা নদীর নেয়ে আমি, মেঘনা পাড়ে বাড়ি।
ইচ্ছে হলেই এপার থেকে ওপারে দেই পাড়ি।
তালে তালে তালের নৌকা দু’ হাতে যাই বেয়ে
আমি মেঘনা নদীর নেয়ে’।এছাড়াও মেঘনা নদীর প্রাসঙ্গিকতা ওঠে এসেছে চমৎকারভাবে কবি হুমায়ুন কবিরের ‘মেঘনার ঢল’ কবিতায়। ‘মেঘনার ঢল’ হুমায়ুন কবিরের একটি বিখ্যাত কবিতা। মেঘনায় আকাশ থেকে মেঘ নেমে এলে সেখানকার প্রাকৃতিক রূপটির সঙ্গে সঙ্গে মেঘনা পারের মানুষগুলো কীরূপ ধারণ করে তা নিখুঁত বর্ণনার ভেতর দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন মেঘনা পারের মানুষগুলোর নিত্য জীবনযাপনের চালচিত্রের কথকথা-
‘শোন মা আমিনা, রেখে দে রে কাজ ত্বরা করে মাঠে চল,
এল মেঘনায় জোয়ারের বেলা এখনি নামিবে ঢল।
নদীর কিনার ঘন ঘাসে ভরা
মাঠ থেকে গরু নিয়ে আয় ত্বরা
করিস না দেরি-আসিয়া পড়িবে সহসা অথই জল
মাঠ থেকে গরু নিয়ে আয় ত্বরা মেঘনায় নামে ঢল’।
আধুনিক বাংলা কবিতার এক অন্যতম প্রাণ-পুরুষ আল মাহমুদ। তিনিও প্রকৃতির প্রেমে আচ্ছন্ন হয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্যময় রূপকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন লোকায়িত ভাবনার দীপ্ত প্রজ্বলনের মধ্যদিয়ে। তিনিও নদী নিয়ে কবিতা লিখেছেন। তার কবিতায় নদীকে আমরা নর-নারীর প্রেমের উৎস হিসেবে দেখেছি কখনো কখনো। তার একটি নদী বিষয়ক কবিতা “তিতাস”। এই কবিতায় কবি তার শৈশবের স্মৃতির সঙ্গে তিতাস নদীর আত্মিক সম্পর্ককে জীবনের প্রতীক রূপে তুলে ধরেছেন। কবিতাটির কয়েকটি লাইন-
‘আবার দেখেছি সেই ঝিকমিক শরীর তিতাস
কী গভীর জলধারা ছড়ালো সে হৃদয়ে আমার।
সোনার বৈঠার ঘায়ে পবনের নাও যেন আমি
বেয়ে নিয়ে চলি একা অলৌকিক যৌবনের দেশে’।কবি রফিক আজাদের নদী বিষয়ক কবিতায় নদীপাড়ের মানুষের জীবনযাপনের দিনলিপির কথা অঙ্কিত হয়েছে। নদী যে আসলে মানুসের বোধের অতীত সে যে শুধু নিজের গতিতেই চলে এবং নিজের মতো করে ভেঙে চলে দুই তীর। এই ভাঙনপ্রবণের মধ্যে দিয়েই নদীপাড়ের মানুষের সুখ-দুঃখের কথা তুলে ধরেছেন রফিক আজাদ। যেমন-
‘ভাঙনপ্রবণ তীরে যাদের আবাস তারা কেউ
সুখে নেই- বরং দুঃখেই কাটে তাদের দিনকাল’।
কবি মহাদেব সাহা বাংলা কবিতায় অন্যতম এক প্রেমের কবি, চির আবেগের কবি হিসেবে খ্যাত। তিনিও নদী নিয়ে কবিতা লিখেছেন। তার “এই যে বর্ষার নদী” কবিতায় তিনি বর্ষাকালের গ্রামের পরিবেশ ও নদীর ভরা যৌবনের কথা তুলে ধরেছেন-
‘দ্যাখো এই বর্ষাকাল, গাঁ-গেরামে ফুঁসে ওঠে নদী
হাঁসেরা নেমেছে জলে আমাকে বিভোর করো যদি,
কীর্তনখোলার বুকে উঠিয়াছে পূর্ণিমার চাঁদ
সেখানে পরানসখা-তুমি আমি দুজনে বিবাদ’।বর্তমান সময়ের প্রবাদ-প্রাণ কবি নিমলেন্দু গুণ। তিনিও নদী নিয়ে কবিতা লিখেছেন। তার একটি কবিতা “কংশের সাথে সমুদ্রের বেশ মিল আছে”। এই কবিতায় কবি কংশ নদীকে সমুদ্রের সাথে তুলনা করেছেন কংশের সৌন্দর্যের সাথে সমুদ্রের সৌন্দর্যের সাদৃশ্যময় হিসেবে বিবেচনা করে। নদী-প্রেমী মানুষকে তিনি কংশ নদীর অপরূপ সৌন্দর্য দেখার আহ্বান করেছেন। কেননা এই নদী কবির শৈশবের নদী। এই কবিতাটিতে কবি কংশ নদীর রূপ ও সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন। কবিতাটির কয়েকটি লাইন-
‘একবার এসেই দেখুন, কংশ নদের সাথে সমুদ্রের বেশ মিল আছে।
একবার এসেই দেখুন, কংশ স্রেফ প্রথাসিদ্ধ শান্ত নদী নয়,
এখানে গর্জন আছে, শোঁ-শোঁ শব্দে হাওয়া ছোটে রাতে,
ঢেউ এসে সজোরে আছড়ে পড়ে তীরের নৌকায়’।