• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার অনুমতি না পেয়ে ফিরে গেলেন চিকিৎসকরা

প্রকাশ:  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৪:৩৪ | আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৫:৩৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কারাকর্তৃপক্ষের অনুমতি না পেয়ে ফিরে গেছেন সাত চিকিৎসক।

সম্পর্কিত খবর

    বুধবার বেলা ১টার দিকে তারা কারা ফটকে আসেন। পরে অনুমতি নিতে কারা অধিদফতরে যান। অনুমতি না পেয়ে কারা ফটক ছেড়ে যাওয়ার সময় চিকিৎসক দলের একজন ডা. আব্দুল কুদ্দুস বলেন: হার্ট, চোখ, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। তাই এমন স্ট্রেসফুল অবস্থায় যেকোনো বিপদ হতে পারে। কারাগারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকে না। তাই আমরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ অপারগতা জানিয়েছেন, অনুমতি দেননি। এমন অবস্থায় বেগম জিয়ার কিছু হলে তার দায় কারা কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।

    জেল সুপার বরাবর লেখা একটি চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন, ‘খালেদা জিয়া বাংলাদেশের বয়োজ্যেষ্ঠ একজন রাজনীতিবিদ। প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ মুক্ত থাকা অবস্থায় নিয়মিত তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতেন। কারাগারে থাকার কারণে তিনি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে পারছেন না। আজ তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা আপনার অনুমতি প্রার্থনা করছে।’

    চিকিৎসকদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক ডা. সিরাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. সাহাব উদ্দিন, অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম সেলিম, ডা. মো. ফাওয়াজ হোসেন শুভ ও ডা. মনোয়ারুল কাদির বিটু।

    তবে কারাগারের দায়িত্বশীল নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই সাত চিকিৎসকের কারা অভ্যন্তরে প্রবেশের সুযোগ নেই। কারণ, কারাগারে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা রয়েছেন, তারা নিয়মিত উনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। আর জেল বিধি অনুযায়ী সপ্তাহে একদিন স্বজনরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন। এরইমধ্যে স্বজনরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাই নিয়ম অনুযায়ী আর কারও তার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ নেই।

    প্রসঙ্গত, ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। মামলার বাকি আসামিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close