তাপপ্রবাহে বেঁকে গেছে লাইন, দেরিতে গেলো ট্রেন
পাবনার ঈশ্বরদী বাইপাস রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি রেললাইনের পাত তীব্র গরমের কারণে বেঁকে যায়। এ ঘটনায় অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ট্রেন কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস। এছাড়া, আরও দুটি আন্তঃনগর ট্রেন এক ঘণ্টা দেরিতে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
সম্পর্কিত খবর
রেলওয়ের ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে কর্মরত শ্রমিক শুভ হোসেন জানান, কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশন ছাড়ার পর ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের কাছে যে লাইনে যাচ্ছিল সেই রেললাইন দূর থেকে দেখে বাঁকা মনে হচ্ছিল সেখানে দায়িত্বরত কর্মচারীদের। দ্রুত ট্রেনটিকে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে স্টেশন মাস্টার তাওলাদ হোসেন বিষয়টি পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। খবর পেয়ে বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহণ কর্মকর্তা, সহকারী প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রেনকে পেছনে এনে অন্য লাইন দিয়ে থ্রো পাস করার ব্যবস্থা নেন।
বেঁকে যাওয়া রেললাইনে ছিল খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ট্রেন কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস। প্রথমে ট্রেনটি থামিয়ে ঈশ্বরদী লোকোসেডের নিকটবর্তী রেললাইন দিয়ে পেছনে টেনে নেওয়া হয়। তারপর অপর একটি লাইনের মাধ্যমে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে প্রায় ১ ঘণ্টা পরে ছেড়ে যায়।
ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তাওলাদ হোসেন বলেন, প্রচণ্ড রোদে দূর থেকে দেখেই মনে হচ্ছিল অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রেললাইন বেঁকে গেছে। এ সময় ওই লাইনে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী যাচ্ছিল। পরে রেলওয়ে অফিসের লোকজন রেললাইনের ওপর পানি ঢেলে তাপমাত্রা কমিয়ে আনার পর ওই রেলপথ স্বাভাবিক করেন।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, খবর শুনে তাৎক্ষণিকভাবে বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী বাকিয়া তুল্লাহসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। তারা অন্য লাইন দিয়ে রাজশাহীতে ট্রেন যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।
তিনি বলেন, রেললাইন বেঁকে যাওয়ার কারণে খুলনা থেকে চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস ও ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি এক ঘণ্টারও বেশি সময় পর গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।