লক্ষ্মীপুরে অর্ধশতাধিক ফলজ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ
সম্পর্কিত খবর
ভূক্তভোগী আনোয়ার সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আইয়ুব আলী মিয়া বাড়ির মৃত আমির হোসেনের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওয়ারিশ ও খরিদসূত্রে তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের শহর কসবা মৌজায় আনোয়ারের পরিবারের মালিকানাধীন ৭৮ শতাংশ জমি রয়েছে। পাশেই আবু ছিদ্দিকদের জমি। এতে আনোয়ারদের জমি ছিদ্দিক বিভিন্নভাবে দখলের পাঁয়াতারা করে আসছে। ছিদ্দিকের ছেলে নোমান নিজের জমির সীমানার পরিবর্তে সম্প্রতি একটি জাল আনোয়ারদের গাছের চারার সঙ্গে বেঁধে রাখে। এতে গাছের সমস্যা হবে ভেবে আনোয়ারের ছেলে জাল সরিয়ে দেয়। এর জের ধরেই নোমান ও ছিদ্দিক ক্ষিপ্ত হয়ে আনোয়ারদের প্রায় ১৫টি নারিকেল গাছ ও ৩৫টি আম গাছ কেটে ফেলে। এর প্রতিবাদ করলে আনোয়ারদেরকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেওয়া হয়।
আনোয়ারের ভাই দিদার হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের প্রায় ৫০টি নারিকেল গাছ ও আম গাছ ছিল। প্রত্যেকটি গাছের বয়স প্রায় ৫ বছর। কলমের হওয়ায় দুই বছর ধরে আম গাছগুলোতো ফল এসেছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
অভিযোগ অস্বীকার করে হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি আবু নোমান বলেন, আমাদের সঙ্গে আনোয়ারদের প্রায় ৪০ বছর ধরে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। তারা আমাদের জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। এখন তারা নিজেরা গাছ কেটে আমাদের নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। আমরা গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত নই।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, গাছ কাটা নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।