• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে

সাত দফা দাবিতে উত্তাল চুয়েট, সড়ক অবরোধ

প্রকাশ:  ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২১
নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের রাঙ্গুনিয়া উপজেলাস্থ জিয়ানগর এলাকায় যাত্রিবাহী বাস-মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই মেধাবী শিক্ষার্থী পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের (‘২০ ব্যাচ) শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং একই বিভাগের ২য় বর্ষের (‘২১ ব্যাচ) মেধাবী শিক্ষার্থী তাওফিক হোসাইন মৃত্যুর জের ধরে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন তারা।

মঙ্গলবার ( ২৩ এপ্রিল) সকাল নয়টায় চুয়েট গেটের মূল ফটকের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি নিয়ে কাপ্তাই মহাসড়কে বড় বড় গাছের গোড়ালি ফেলে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এতে সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম (ক্লাস ও পরীক্ষা) বর্জনের ঘোষণা দেন। এ সময় ক্যাম্পাসে পুলিশের উপস্থিতি দেখে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

দাবিসমূহ হলো, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে মামলার মাধ্যমে তৌফিক ও শান্ত হত্যার বিচার, ক্ষতিপূরণ ও শাহ আমানত বাস কর্তৃপক্ষকে আহত চুয়েট ছাত্র হিমুর সকল চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে হবে; চট্টগ্রাম কাপ্তাই মহাসড়কে শাহ আমানত ও এবি ট্র্যাভেলসসহ সকল লোকাল বাস চলাচল বন্ধ করতে হবে; চুয়েটে বাস পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে হবে এবং আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ অক্সিজেন সিলিন্ডার সমৃদ্ধ চুয়েট অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে; চুয়েট মেডিকেল সেন্টারের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

এ সব দাবি লিখিতভাবে আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এবং আন্দোলন চলবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।আন্দোলনের পাশাপাশি দুপুরে নিহত শিক্ষার্থীদের গায়েবানা জানাজা আদায় করা হয়। জানাজায় চুয়েট ভিসি, প্রো ভিসিসহ চুয়েটের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

এদিকে গত ২২ এপ্রিল সোমবার কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত পর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে শাহ আমানত পরিবহনের গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় চুয়েট শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম -কাপ্তাই মহাসড়কে বের হয়ে শাহ আমানত পরিবহনের বেশ কয়েকটি বাস আটক করে তিনটি বাস ভাঙচুর ও একটি বাসে আগুন দেন। ক্ষতিগ্রস্ত চারটি বাসই শাহ আমানত পরিবহনের। সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেন।সড়কেও বন্ধ থাকে যানবাহন চলাচল।পরে পুলিশ ও চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে শান্ত করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নিহত দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর জন্য বাসচালক ও হেলপারকে দায়ী করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে সাত দফা জনান।

চুয়েট,আন্দোলন,অবরোধ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close