• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

গোপালগঞ্জে পুকুরে একের পর এক মিলছে প্রাচীন মূর্তি

প্রকাশ:  ২৩ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৩
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় একটি পুকুরে বালু খুঁড়লেই একের পর এক বেরিয়ে আসছে নানা আকৃতির প্রাচীন আমলের ধাতব দেব-দেবীর মূর্তি। এসব মূর্তি ব্রোঞ্জের তৈরি বলে ধারণা করা হচ্ছে। মূল্যবান সম্পদ মনে করে স্থানীয় শিশুরা প্রতিদিন বালু খুঁড়ে এসব মূর্তি তুলছে। মূর্তি দেখতে পুকুরের পাড়ে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। স্থানীয়রা জানান, এমন আকৃতির মূর্তি তারা আগে কখনও দেখেননি।

স্থানীয়দের ভাষ্য, এক সপ্তাহ আগে উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের গুঘালিয়া গ্রামে একটি পুকুরে বালুর মধ্যে বিভিন্ন আকৃতির দেব-দেবীর মূর্তি দেখতে পায় শিশুরা। তারা বালু খুঁড়ে আরও কিছু মূর্তি পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। এভাবেই একের পর এক বালু খুঁড়তেই উঠে আসছে মূর্তি। পরবর্তীতে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। ওই পুকুরের মালিক পার্শ্ববর্তী সরাইকান্দি গ্রামের বদরুল আলম শেখ।

শনিবার দুপুরে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রাশেদুজ্জামান বিষয়টি স্থানীয় এক সাংবাদিকের মাধ্যমে জানতে পেরে ফুকরা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠান। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রায় অর্ধশতাধিক মূর্তি ও অংশবিশেষ উদ্ধার করে নিয়ে যান।

গুঘালিয়া গ্রামের সাজ্জাদ শেখ বলেন, “এক সপ্তাহ আগে আমরা ওই পুকুরে বালুর মধ্যে একটি মূর্তি দেখতে পাই। বালু খুঁড়ে আরও কিছু মূর্তি পাই। এগুলো বাড়িতে নিয়ে এসে লোকজনকে দেখাই। এরপর স্থানীয় এক সাংবাদিককে বিষয়টি জানাই। তিনি ইউএনওকে জানান। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এসে মূর্তিগুলো নিয়ে গেছেন।”

ফুকরা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শংকর বাড়ৈ বলেন, “গুঘালিয়া গ্রামের একটি পুকুরে স্থানীয় কয়েকজন শিশু গোসল করতে গিয়ে বালু খুঁড়ে প্রাচীন মূর্তি পায়। বিষয়টি ইউএনও স্যার জানতে পেরে আমাকে পাঠান। আমি ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পাই এবং সেগুলো উদ্ধার করে নিয়ে আসি।”

ফুকরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ ইশতিয়াক পটু বলেন, “ওই গ্রামের একটি পুকুরে বালু খুঁড়ে প্রাচীন আমলের মূর্তি পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি আমি স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে শুনেছি।”

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, “আমি সাংবাদিক লিয়াকত হোসেন লিংকনের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। ঘটনাস্থল থেকে মূর্তিগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো জেলা প্রশাসকের ট্রেজারে (কোষাগারে) জমা দেওয়া হবে। প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে বলতে পারবে এগুলো কীসের তৈরি। তার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এসব মূর্তি নারী আবক্ষের ব্রোঞ্জের তৈরি বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।”

গোপালগঞ্জ,প্রত্নতত্ত্ব,ইতিহাস

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close