• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

৬ বছরের প্রেম, মালয়েশিয়ান তরুণী লক্ষ্মীপুরে

প্রকাশ:  ০২ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৪ | আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৫
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

এবার লক্ষ্মীপুরের রিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে ৬ বছরের প্রেমের সম্পর্ক মালয়েশিয়ান তরুণী নুর আজিরা বিনতে আজহারের। এ টানে সেই তরুণী বাংলাদেশে আসেন। পছন্দের মানুষের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। এদিকে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে রিয়াজও তার স্বপ্নের নারীকে পেয়েছেন বলে জানান।

শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আবিরনগর এলাকার বাসায় তাদের বিয়ে হয়। এ সময় এলাকার গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন। ওই এলাকার কাজী মোহাম্মদ আলী বেলাল এ বিয়ে পড়ান।

বর রিয়াজ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আবিনগর এলাকার সাবেক সহকারী সাব-রেজিস্ট্রার জামাল উদ্দিনের ছেলে। কনে আজিরা মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের আজহা বিন হোসাইন ও নুর আসিকিন বিন আরেফিন দম্পতির মেয়ে।

রিয়াজের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৯ বছর আগে রিয়াজ মালয়েশিয়ায় যান। এর মধ্যে ছয় বছর আগে এক দিন নুর আজিরা একটি ফ্যাশন ডিজাইনের প্রতিষ্ঠানে ক্লাস করার জন্য আসেন। পাশেই রিয়াজের দোকান ছিল। প্রতিষ্ঠানটির সামনে দিয়ে তিনি হেঁটে যাচ্ছিলেন। ফ্যাশন ডিজাইনের প্রতিষ্ঠানটিতে আজিরা ও তার একজন মেয়ে বন্ধু বসে ছিলেন। এক পর্যায়ে আজিরার বন্ধু রিয়াজকে ডাক দেন। তখন তিনি গেলে আজিরার বন্ধু তাকে সুদর্শন বলে সম্বোধন করেন। একই সঙ্গে রিয়াজ কোন দেশের তা জানতে চান। রিয়াজ তাকে বাংলাদেশি বললেও তারা বিশ্বাস করতে চাচ্ছিলেন না। তাদের দাবি ছিল, রিয়াজ ইরানি অথবা সৌদির বাসিন্দা। এভাবেই তাদের পরিচয়। এ ঘটনার পর আজিরার বন্ধু রিয়াজেরও ভালো বন্ধু হয়ে উঠেন। কিন্তু লাজুক প্রকৃতির হওয়ার আজিরা তার সঙ্গে কথা বলতেন না। আজিরার বন্ধু একটি সমস্যায় পড়েছিলেন। এতে আজিরা ও তার বন্ধুর জন্য সমপরিমাণ খাবার নেন রিয়াজ। যেহেতু আজিরার সঙ্গে রিয়াজের বন্ধুত্ব ছিল না, এতে আজিরা খাবারের বিষয় নিয়ে অবাক হয়ে পড়েন।

রিয়াজ জানান, বাংলাদেশে বিষয়টি স্বাভাবিক হলেও মালয়েশিয়ায় এটি অবাক করার ঘটনা। পরে আজিরা তার মাকে রিয়াজের সম্পর্কে জানান। এভাবে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক।

কনে নুর আজিরা বিনতে আজহা বলেন, বাংলাদেশি মানুষ খুবই দারুণ এবং শ্রদ্ধাশীল। আমি রিয়াজকে অনেক বেশি ভালোবাসি। কারণ তিনি খুব ভদ্র স্বভাবের ও অনেক সুন্দর। শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে মেয়ের মতো গ্রহণ করেছেন।

রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আজিরা মালয়েশিয়ায় আমাদের দেশের নামে খারাপ কিছু শুনেছেন। তবে উড়োজাহাজে এক বাঙালির উপকারে সে মুগ্ধ হয়ে পড়েন। বিমানবন্দরে তাকে সংশ্লিষ্টরা আমাদের দেশে স্বাগত জানিয়েছেন। এসব বিষয়ে আজিরা খুবই খুশি। আজিরা এখন বাংলাদেশিদের সম্মান করে। আমি এক বছর দেশে আছি। এর মধ্যে আজিরা আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকবে। তাকে একবারে দেশে আনার জন্য মালয়েশিয়ার দূতাবাসসহ বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হবে।

রিয়াজের বাবা জামাল উদ্দিন বলেন, রিয়াজ আমার ছোট ছেলে। ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করতে চেয়েছি। কিছু জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। এ বিয়েতে আমরা পুরো পরিবারই আনন্দিত। আগামী শুক্রবার (৮ মার্চ) ছোট করে অনুষ্ঠান করা হবে। আজিরার স্বজনরা আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কাগজপত্রের জটিলতার কারণে আপাতত আসতে পারবেন না।

লক্ষীপুর,প্রেম,মালয়েশিয়া

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close