• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

রাতের অন্ধকারে ফসলী জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ

প্রকাশ:  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৮
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতার ১ একর ৯৫ শতাংশ ফসলি জমি রাতের অন্ধকারে দখলচেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় গ্রাম সরকার মো. শামছুদ্দিন নিজের দাবি করে ওই জমিতে আবাদকৃত ধানের চারা তুলে ফেলতে যায়। এসময় জমির বর্গাচাষীরা দেখতে পেয়ে বাধা দিলে মারধরের শিকার হয়।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জমির মালিক ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল হালিম মাষ্টার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন। এরআগেও শামছুদ্দিন জমিটি দখলের পাঁয়তারা করে। এ ঘটনা হালিম মাষ্টার সদর মডেল থানায় শামছুসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- শামছুদ্দিনের ছেলে দিদার হোসেন, আরিফ হোসেন, মো. সবুজ, দেলোয়ার হোসেন, স্বজন আবদুল মান্নান। শামছুদ্দিন ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের মৃত আবদুর রবের ছেলে। তিনি গ্রাম সরকার হিসেবে পরিচিত।

বর্গাচাষী নিজাম উদ্দিন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে ধানের চারা রোপনের জন্য জমিতে চাষ করা হয়। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী চাষকৃত জমিতে ধানের চারা রোপন করা হয়। সন্ধ্যায় সবাই বাড়িতে চলে যায়। রাতেও নিজাম ক্ষেত দেখতে যায়। এসময় শামছুদ্দিনের লোকজনকে ধানের চারা উঠিয়ে ফেলতে দেখেন তিনি। এতে বাধা দিলে তাকে মারধর করে প্রতিপক্ষের লোকজন।

অভিযোগ করে আবদুল হালিম মাষ্টার বলেন, জমিটি আমাদের। ১৯৭৪ সাল থেকে আমাদের বর্গাচাষীরা সেখানে চাষাবাদ করে আসছে। দুই বছর ধরে শামছুদ্দিন জমিটি নিজের দাবি করে দখলের পাঁয়তারা করে আসছে। কিন্তু না পেরে বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে চাষাবাদকৃত জমির কিছু অংশ থেকে ধানের চারা উঠিয়ে ফেলে। পরে তারা ধানের চারা লাগাতে যায়। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে আমাদের বর্গাচাষী নিজাম বাধা দেয়। এসময় শামছুর লোকজন তাকে চড়থাপ্পড় মারে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে শামছুদ্দিনের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তার জামাতা আজিজুল হক বলেন, জমিটি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। কিন্তু হালিম মাষ্টার সেখানে চাষাবাদ করছিল। এটি বন্ধে আমার শ^শুর ১৪৪ ধারায় আদালতে মামলা করেন। আজ (শুক্রবার) তাদেরকে নোটিশও দেওয়া হয়েছে। আমার শ্বশুরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়।

ইউপি সদস্য শাহ আলম বলেন, জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলে। জমিটি দখলের পাঁয়তারা ঘটনায় হালিম মাষ্টার থানায় একটি অভিযোগ করেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি ওসি তদন্তের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয়। ওসি তদন্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, আদালতের রায় হওয়া পর্যন্ত আপাতত জমিটি হালিম মাষ্টারদের কাছেই থাকুক। থানায় শামছুরা সিদ্ধান্তটি মানলেও এখন মানছে না। গতরাতে শামছুরা জমিটি দখল করতে যায়।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ধানের চারা উঠিয়ে ফেলার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফসলি জমি,অভিযোগ,দখল

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close