বিষমুক্ত ব্রকলি জনপ্রিয় হওয়ায়, চাষ বাড়ছে দেশে
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত বর্তমান সময়ে কঠিন হয়ে পড়েছে। অধিক ফলনের আশায় বিষ-কীটনাশক ও রাসায়নিক ব্যবহার করায় খাবার টেবিল থেকে শঙ্কামুক্ত খাদ্য প্রায় উধাও। এ অবস্থায় বিষমুক্ত ও পুষ্টিযুক্ত একটি খাদ্যপণ্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেটি হচ্ছে ব্রকলি।
ব্রকলি দেখতে ফুলকপির মতোই। তবে ব্রকলির পাতা ও ফুল ফলের রং সবুজ। ব্রকলিতে সেলেনিয়াম নামক এক ধরনের উপাদান থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এই খাদ্যদ্রব্যটি অত্যধিক জনপ্রিয়।
সম্পর্কিত খবর
ফুল কপি বা বাধা কপির মতো দেখতে এই খাদ্যপণ্যটির দাম তুলনামূলক বেশি। আবার চাষ পদ্ধতি সহজ। বিষমুক্তভাবে এটি চাষ করা যায় বলে এতে খরচও কম; ফলন বেশি। ফলে ব্রকলি চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা গুচ্ছগ্রামের কয়েকজন প্রান্তিক কৃষক ব্রকলি চাষ করছেন। এই কৃষকদের একজন মোসলেম উদ্দিন। অত্যন্ত দরিদ্র এই কৃষক ২০ শতাংশ জমিতে ব্রোকলি চাষ করেছেন। তাকে ব্রকলি চাষে কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে স্থানীয় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা “জাকস ফাউন্ডেশন”।
মোসলেম উদ্দিন জানান, তিনি ২০ শতাংশ জমিতে ২,৫০০টি ব্রকলির চারা রোপণ করেছেন। এর চাষপদ্ধতি বাধা বা ফুলকপির মতোই। চারা লাগানো থেকে ৬৫-৭০ দিনের মধ্যে ব্রকলি সংগ্রহ করা যায়।
এরমধ্যে মোসলেমের ব্রকলি বাজারে আসতে শুরু করেছে। তিনি ৭৫ হাজার টাকার ব্রকলি বিক্রির আশা করছেন।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা ওবাইদুল ইসলাম বলেন, “বেলে দো’আশ মাটিতে ব্রকলির ফলন ভালো হয়। বিষমুক্তভাবে এটি চাষ করা হচ্ছে। পোকা মাকড় দমনের জন্য কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা হচ্ছে।”
ব্রকলি চাষ লাভজনক হওয়ায় এবার ওই এলাকার স্বপন কুমার, বিমল পাহান, আব্দুর রহমান, আমেদ আলি, সোয়াইব, নোমানসহ অনেক কৃষক ব্রকলি চাষে আগ্রহী হয়েছেন। আরও বেশ কয়েকজন কৃষক ব্রকলি চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন।