রিকশাচালক স্বামীর কষ্টার্জিত অর্থে স্নাতকোত্তর সীমানুরকে চাকরি দিলেন প্রধানমন্ত্রী
অর্থাভাবে পড়াশোনা হয়নি ফেরদৌস মন্ডলের। প্রাথমিকের পাঠ চুকিয়েই সংসারের হাল ধরতে পা রাখেন রিকশার প্যাডেলে। বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ঠিকাদারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ফেরদৌস বিয়ে করেন ধুনট উপজেলার নাংলু গ্রামের মাধ্যমিক উত্তীর্ণ সীমানুর খাতুনকে।
আর্থিক টানাপোড়েনে নিজের পড়াশোনা না হলেও স্ত্রী সীমানুরকে শিক্ষিত করার সংকল্প ছিল ফেরদৌসের। রিকশা চালিয়ে পরিবারের খরচ চালানোর পাশাপাশি স্ত্রীর পড়ার খরচ জোগান তিনি।
সম্পর্কিত খবর
স্বামীর রিকশা চড়েই কলেজে যেতেন সীমানুর। পড়াশোনার ফাঁকে তিনি সেলাইয়ের কাজ করতেন। ধুনট ডিগ্রি কলেজ থেকে স্নাতক পাস করে সরকারি আজিজুল হক কলেজে ভর্তি হন। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে দ্বিতীয় বিভাগে স্নাতকোত্তর শেষ করেন।
ফেরদৌস ও সীমানুরের জীবনসংগ্রামের গল্প গণমাধ্যমে এলে তা নজরে আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। স্নাতকোত্তর সীমানুরকে চাকরির ব্যবস্থা করেন তিনি। পাশাপাশি তাদের পরিবারের ঋণ পরিশোধের জন্য অর্থ সহায়তাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বগুড়ার কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক শাখায় সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছেন সীমানুর। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন সীমানুরকে।
নিয়োগপত্রের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সীমানুরকে ঘরের জন্য দুই বান্ডল ঢেউটিন, একটি ল্যাপটপ ও ছয় হাজার টাকা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অটোরিকশা কিনতে গিয়ে ফেরদৌসের নেওয়া ২৫ হাজার টাকা ঋণ পরিশোধের জন্য চেকও তুলে দেন জেলা প্রশাসক।
ফেরদৌস-সীমানুর দম্পতি প্রধানমন্ত্রীর প্রতির শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তারা জানান, ঋণ ও পরিশ্রম করে সংসার টিকিয়ে রাখতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় তাদের কষ্টের দিন শেষ হতে চলেছে।
