আচরণবিধি লঙ্ঘনে সংসদ সদস্য রতনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ ইসির
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর-ধর্মপাশা-জামালগঞ্জ-মধ্যনগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে রতনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বাদী হয়ে মামলাটি করতে বলেছে ইসি।
ইসির উপসচিব (আইন) মো. আব্দুছ সালাম স্বাক্ষরিত নির্দেশনার চিঠি গতকাল শুক্রবার ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল হককে পাঠানো হয়েছে। চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মঞ্জুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তিনি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সম্পর্কিত খবর
নির্দেশনাসংক্রান্ত ওই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আমলযোগ্য অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারকে এজাহার দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনুলিপি ইসিতে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে নির্দেশনায়।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ প্রবাল চক্রবর্তীর কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ ওরফে মুরাদ।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি। তাঁর জায়গায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন রনজিত চন্দ্র সরকার। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেটলি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। এখানে তাঁরা দুজনসহ মোট আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা সেলিম আহমদ (ঈগল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের নবাব সালেহ আহমদ, জাতীয় পার্টির আবদুল মান্নান তালুকদার, তৃণমূল বিএনপির মো. আশরাফ আলী, গণফ্রন্টের মো. জাহানুর রশিদ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মো. হারিছ মিয়া।