না. গঞ্জে প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচন যেন না হয়, সেজন্য এখনো যড়যন্ত্র চলছে
নির্বাচন যেন না হয় সেজন্য এখনো যড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নিজেরা নির্বাচনে যাবে না, অন্যদেরও ভোট দিতে দেবে না। তারা জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চায়। সবাই শান্তিপূর্ণ থাকবেন। কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। প্রমাণ করবেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিদ্যমান।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইর এলাকার শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ সামনের দিকে যায় আর বিএনপি থাকলে পেছনের দিকে যায়। আমরা ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছিলাম। আর খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে আমাদের উৎপাদিত বিদ্যুৎ কমিয়ে আগের জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলো। তারা ক্ষমতায় এসে দুঃশাসন, দুর্নীতি করে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো মানুষের ওপর অত্যাচার করে।
সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মুজিববর্ষে আমার অঙ্গীকার ছিল কোনো কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকবে না। আমরা ভূমিহীনদের ভূমি দিয়েছি। শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করেছি। মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়িয়েছি। এখন আর শিশুদের জন্য বই কিনতে হয় না। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। তবে আপনারা বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবেন। অযথা বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন না। আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের মানুষের নতুনভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবন দেওয়া।
সরকারপ্রধান বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশে এতো উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাবে।
‘আওয়ামী লীগ উপমহাদেশের প্রাচীন প্রজ্ঞাশীল সংগঠন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আমরা কারোর ওপর মুখাপেক্ষী না। কারোর ওপর নির্ভর করবে না। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনার সময়ে বিনা টাকায় টিকা দিয়েছি। শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি। বস্তিবাসীদের জন্য ফ্ল্যাট বানিয়ে দিয়েছি। দলিত সম্প্রদায়ের আরও ফ্ল্যাট বানিয়ে দেবো। আমরা দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আর বিএনপি মানুষ হত্যা করে। ২৮ অক্টোবর বিএনপি পুলিশ হাসপাতালে হামলা করেছে। পুলিশকে হত্যা করেছে। প্রধান বিচারপতি বাড়িতে হামলা করেছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।