জয়পুরহাটে ধন ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি কৃষকেরা
একদিকে উৎপাদন খরচের তূলনায় যেমন আমন ধানের দাম কম। তার ওপর কৃষকের ঘাঁড়ে ‘ঢলতা’র বোঝা চাপে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কৃষকেরা মাঠে হাঁড়ভাঙ্গা পরিশ্রম
সম্পর্কিত খবর
কৃষকেরা বলছেন, ৪০ কেজিতে ধানের মণ হলেও ব্যবসায়ীরা 'ঢলতা' হিসেবে প্রতি মণে ২ কেজি ধান বেশি নিচ্ছেন। যার দাম কৃষকেরা পাচ্ছেননা। এতে হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্তর মুখে পড়েছেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কৃষকেরা। তবে আড়ৎদাড় সমিতি বলছেন, সমিতির আওতাভূক্ত আড়তদাড়দের বাড়তি ওজনে ধান ক্রয় না করার নির্দেশনা দেওয়া আছে। তবে ফড়িয়ারা এই নির্দেশনা মানছেন না।
এ ব্যাপারে প্রশাসনের বাজার মনিটরিং না থাকায় ফড়িয়াদের দৌড়াত্ম্য বেড়েছে বলে মনে করেন তারা ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৯
হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০ হাজার ৯৬৫ মেট্রিকটন ধান। বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি মাঠে ধান কাটা ও মাড়াই এখন প্রায় শেষের দিকে। বাজারে প্রকারভেদে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার
ধরঞ্জী ইউনিয়নের কৃষক সুলতান মাহমুদ সুজন বলেন, ৪০ কেজি ধানে এক থেকে দেড় কেজি করে বেশি নিয়েছেন আড়তদার ও ফড়িয়ারা।বেশি না দিলে তারা ধান নিতে চান না। একই অভিযোগ করেন উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস ছালাম। উপজেলার পাগলা বাজার এলাকার আড়তদার নুরনবী হোসেন জানান, ধান অপরিষ্কার ও বালু থাকার কারণে মণে এক থেকে দেড় কেজি বেশি নেওয়া হয়। উপজেলার কোতোয়ালীবাগ, রতনপুর, আটাপাড়া ও শালাইপুর বাজারের একাধিক আড়তদার বলেন, ‘মিলাররা ধান নেওয়ার সময় ৭০ কেজিতে ১ কেজি ধান বেশি নেয়। সে কারণে আমাদেরও নিতে হয়।’
উপজেলা আড়তদার সমিতির সভাপতি আইনুল হক বলেন, প্রচলিত ওজনের বাড়তি ওজন নিয়ে ধান না কিনতে সব আড়তদারকে নিষেধ করা আছে। কিন্তু উপজেলার বাইরে থেকে কিছু ফড়িয়া এসে আমাদের এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাজারদরের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে মণপ্রতি দুই কেজি ধান বেশি নিচ্ছে। এতে কৃষকেরা প্রতারিত হচ্ছেন। জয়পুরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা রতন কুমার রায় বলেন, এব্যাপারে কোনো কৃষক লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর অচিরেই বিভিন্ন হাটবাজারে মনিটরিং করা হবে।