সুন্দরবনে রাস পূজায় কঠোর নিরাপত্তা

সুন্দরবনের আলোরকোলে রাস পুজা উপলক্ষে খুলনা রেঞ্জের সম্পদ রক্ষায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা।

২৫ নভেম্বর হতে ২৭ নভেম্বর তিন দিন ব্যাপী সাগর দ্বীপে আলোর কোলে অনুষ্ঠিত হবে রাস পুজা। হাজার হাজার পুর্নার্থীদের আগমনে রাস পুজা হয়ে উঠবে উৎসবমুখর।

এ বছর রাস পুজাকে কেন্দ্র করে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের খুলনা রেঞ্জের উদ্যোগে বনজ সম্পদ রক্ষায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা।

ইতোমধ্যে সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। এ বছর শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের রাস পুজায় প্রবেশের অনুমতি প্রদান করবে বন বিভাগ। এই লক্ষে ২৫ নভেম্বর থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। জানা গেছে, প্রতিবছর কার্ত্তিক অগ্রহায়ণরে শুক্লাপক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ পার্থিব জীবনের কামনা বাসনা পুরুনের লক্ষ্যে সুন্দরবনের শেষ প্রান্তে- বঙ্গোপসাগরের তীরে দুবলার দ্বীপে এক নিবিড় পরিবেশে হাজির হয়। সেখানে র্সূযোদয়ের সাথে সমুদ্র স্নান করে পবিত্র হয়ে ভগবানের কাছে আরতী জানায় সনাতন ধর্মের লোকজন। অসংখ্য হিন্দু নর-নারী গঙ্গাসাগরের মেলার মত র্তীর্থস্থান মনে করে এই রাস পুজায় উপস্থিত হন।

এ বছর রাস পুজায় যাওয়ার জন্য ৫ টি নৌ-রুট নির্ধারন করা হয়েছে। রুটের বাহিরে কোন রকম প্রবেশ করতে পারবেনা পুর্নার্থীরা।ইতোমধ্যে রাস পুজাকে ঘিরে সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের উদ্যোগে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে খুলনা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) এজেডএম হাছানুর রহমান বলেন, রাশ পুজা উপলক্ষে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। স্টেশন কর্মকর্তা ও টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের রাস পুজা শুরুর আগে থেকে টহল জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোন হয়রানী ছাড়াই সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবে পুর্নার্থীরা।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহসীন হোসেন বলেন, এ বার রাস পুজায় নিবিঘ্নে যাতে র্তীর্থ যাত্রীরা যেতে পারে তার জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। রাস পুজাকে কেন্দ্র করে সুন্দরবনে অভিযান পরিচালনা করার জন্য কয়েকটি টিম গঠন করা হয়েছে। তা ছাড়া তিনি সার্বক্ষনিক তদারকিতে থাকবেন বলেও জানান।