• সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

ঐতিহ্য ধরে রাখতে কুমার নদীতে নৌকা বাইচ

প্রকাশ:  ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ২৩:২২
মাদারীপুর প্রতিনিধি

নেশা ও যুব সমাজকে বর্তমান নেশার ছোবল থেকে রক্ষা করতে মহামারি করোনার পরে মানুষের মাঝে বিনোদন দিতে এবং হাজার হাজার বছরের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে মাদারীপুরের পেয়ারপুরে বিশাল নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ নৌকা বাইচ দেখতে আশ-পাশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ ভীড় জমান।

মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর, ঘটমাঝি ও মস্তফাপুর সীমানায় বহমান কুমার নদীতে প্রায় ২কিলোমিটার দীর্ঘ নৌপথের নৌকা বাইচ দেখা জন্য হাজার হাজার নারী পুরুষ রাস্তার পাকা ব্রীজ , রাস্তার পাশে দাড়িয়ে, নৌকা, ট্রলারে চড়ে বাইছ উপভোগ করেন।

শনিবার(৭ অক্টোবার) বিকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের গাছবাড়ীয়া প্রভাতী সংঘের উদ্যোগে এই নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করেন পেয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাদারীপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান লাবলু তালুকদার।

নৌকা বাইচে প্রথম স্থানকারী ও দ্বিতীয় স্থানকারীদের একটি করে ফ্রীজ ও তৃতীয় স্থানকারীকে একটি কালার টেলিভিশন উপহার দেয়া হয়। এছাড়াও সকল নৌকা বাইচ প্রতিযোগীদের বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয়। নৌকা বাইচে মোট ৩০টি নৌকা অংশগ্রহন করে এর মধ্যে প্রতিযোগীতার মাধ্যমে প্রথম ও দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থান লাভ করে।

এসময় প্রধান অতিথি বলেন, এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। আমি যুবসমাজ ও গাছবাড়ীয়া প্রভাতী সংঘকে ধন্যবাদ জানাই এবং নেশা ও যুব সমাজকে বর্তমান নেশার ছোবল থেকে একদিনের জন্য হলেও রক্ষা করতে পারছে এই উদ্যোগ। আমি ভবিশ্যতে তারা যেকোন ভাল উদ্যোগ নিলে পাশে থাকবো।

গাছবাড়ীয়া প্রভাতী সংঘের সভাপতি মো. রাশেদুল ইসলাম ছোটনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঘটমাঝি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাবুল আকতার, মস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খানসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরাসহ এলাকাবাসীরা। নৌকা বাইচ দেখতে আসা ওয়াসিফা হাসান জানান, আমি আমার বাবা ও বোনের সাথে নৌকা বাইচ দেখতে এসেছি’ আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো আমরা এই প্রথম আমাদের কুমার নদীতে নৌকা বাইচ দেখলাম।

নৌকা বাইচ দেখতে আসা মৌসুমী নামে এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী বলেন, আমি অনেক দুর থেকে আসছি ভাইয়ের সাথে এই নৌকা বাইচ দেখতে। এই নৌকা বাইচ প্রতিবছর হওয়া উচিত এতে মনে প্রশান্তি বাড়ে।

৮০বছরের রহমান নামে এক ব্যাক্তি বলেন, আমরা নিজেরাও অনেক নৌকা বাইচের আয়োজন করেছি কিন্ত বর্তমান যুগে এসে এগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে আর এই কারনে যুবকরা নেশা(মাদকে) জড়িয়ে পড়েছে। আমি ধন্যবাদ জানাই যারা এই আয়োজন করেছে। এই নৌকা বাইচের কথা শুনে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারি নাই। শরীরটা অসুস্থ্য হলেও আনন্দ পেতে নৌকা বাইচ দেখতে চলে এসেছি।

নৌকা বাইচের আয়োজক গাছবাড়ীয়া প্রভাতী সংঘের সভাপতি মো. রাশেদুল ইসলাম ছোটন বলেন, আমদের একটা উদ্দেশ্য যুব সমাজকে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক থেকে দুরে রাখতে এই আয়োজন।

বিশাল নৌকা বাইচে পুরস্কার দিয়ে যারা যারা সহযোগীতা করে নিজেদের ধন্য মনে করেছেন- উজ্জল বেপারী, নাসির বেপারী, মৃধা ইসরাফিল, মিঠু বেপারী (কাতার প্রবাসী) ও রানা বেপারী এবং সার্বিক সহযোগীতা করেন গাছবাড়ীয়া প্রভাতী সংঘের সকল সদস্যরা।

নৌকাবাইচ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close