• সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মধুমতি নদী ভাঙনে তিন শতাধিক বসতবাড়ি নদীতে বিলীন

প্রকাশ:  ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:০৩
শরিফুল ইসলাম, নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলের লোহাগড়ার মধুমতি নদীতে তীব্র স্রোতের কারনে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের ফলে উপজেলার জয়পুর ইউপির পার-আমডাঙ্গা ও লোহাগড়া সদর ইউপির ছাগলছিড়া গ্রামের প্রায় ৩শতাধিক ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

সম্পর্কিত খবর

    মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকালে পার-আমমডাঙ্গা ও ছাগলছিড়া গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে ভাঙনের দৃশ্য। ওই দুটি গ্রামের লোকজন র্দীঘ ৩/৪ বছর ধরে মধুমতি নদী ভাঙনে কবলে পড়ে রয়েছে। পার-আমডাঙ্গা ও ছাগলছিড়া গ্রামের প্রায় পাঁচশতাধিক পরিবার নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে তবে ভাঙন প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।

    নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পার-আমডাঙ্গা গ্রামের নুরুল আলম মাস্টার, সোহাগ মোল্যাসহ কয়কেজন বলেন, গ্রামের শতবর্ষের মসজিদ-মাদরাসা,কবরস্থানসহ অসংখ্য ঘর-বাড়ি ও শত শত একর ফসলি জমি মধুমতি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সহায় সম্বল হারিয়ে আমরা এখন পথে বসেছি।

    এ বিষয় কথা হয় জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৮২ জনকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পানি উন্নয়ন র্বোড নদী ভাঙন রোধে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্যকে নিয়ে আমরা কয়েকবার ভাঙন কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেছি ।

    এ ব্যাপারে নড়াইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন, ২০২০/২১ অর্থ বছরে নদী ভাঙন রোধে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। কিন্ত সেটি ও এখন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে । ইতোমধ্যে ওই এলাকার ভাঙনের বিষয়ে র্ঊধ্বতন র্কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে পুনরায় নদী ভাঙন রোধের কাজ করা হবে।

    নদীভাঙ্গন

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close