• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

যমুনায় তিন দফা পানি বৃদ্ধিতে ৫ কোটি টাকার ফসল নষ্ট

প্রকাশ:  ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৪৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে সিরাজগঞ্জে তিন দফায় যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড়, ইছামতি, হুড়া সাগর ও বড়াল নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। এর ফলে নিম্নাঞ্চলসহ সব ফসলি জমি তলিয়ে যায়। এতে এ জেলার ২০৪ হেক্টর জমির প্রায় ৫ কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

    জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে তিন দফায় পানি বৃদ্ধিতে প্লাবিত হয় সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল। যমুনা নদী চর অধ্যুষিত সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর এবং চলবিল অধ্যুষিত তাড়াশ ও উল্লাপাড়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।

    জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলার অন্তত ৪২টি ইউনিয়নের ফসলি জমি তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতি হয় কৃষি ও কৃষকের। রোপা আমন, বোনা আমন, আমনের বীজতলা, আগাম শীতকালীন সবজি, আউশ, মাসকালাই, কলা ও আখসহ বেশ কয়েকটি ফসলের বেশি ক্ষতি হয়।

    চলতি বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাজিপুর উপজেলার ফসল। এক উপজেলাতেই ১১১ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।

    এ সব জমি প্রস্তুত করা, বীজ লাগানো, সার ও কীটনাশক কিনে জমিতে দেওয়া এবং শ্রমিক বাবদ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। জেলার ৪ হাজার ১৫১ জন ফসল তলিয়ে যাওয়ায় মূলধন সংকটে পড়েছেন কৃষকেরা, এমনই বলছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

    জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর দুই মাসে দফায় দফায় যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বেড়ে ৯৫২ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে যায়। এর মধ্যে ২০৪ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে অন্তত ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে। আশা করি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় আনা সম্ভব হবে।

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close