• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

এখনো বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি

প্রকাশ:  ১৫ জুলাই ২০২৩, ১৩:০১
লালমনিরহাট প্রতিনিধি

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তাপাড়ের প্রায় ৭ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

শনিবার সকাল ৬টায় হাতীবান্ধায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে গত শক্রবার সকালে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বিকেলে তা কমে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। তবে আজ শনিবার ভোর থেকে আবারও পানি বাড়তে থাকে। বর্তমান তিস্তায় পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটারে ওপরে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে কয়েকদিন থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে। শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাত থেকে গত কয়েক দিনের তুলনায় পানি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে গড্ডিমারী, সানিয়াজান, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের প্রায় ৭ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। শক্রবার (১৫ জুলাই) সকালে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বিকেলে তা কমে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।

এদিকে শনিবার ভোর থেকে আবারও পানি বাড়তে থাকে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সব জলকপাট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে গড্ডিমারী ইউনিয়নের মাছুম মিয়া বলেন, পানি বাড়ে আবার কমে। কয়েক দিন থেকে পানি বৃদ্ধির কারণে আমার পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। রান্না করে খাবার খাওয়ার মতো অবস্থা নেই। এখন আবার ভাঙন শুরু হয়েছে।

গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, আমার ইউনিয়নে প্রায় ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি ত্রাণে বরাদ্দ পাইনি। তবে আমার নিজ অর্থায়নে পানিবন্দি পরিবাদের শুকনো খাবার বিতরণ করছি।

ডালিয়া পানি উন্নায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আফসাউদ্দৌলা বলেন, গত দুদিন থেকে উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি মানুষের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, পানিবন্দি মানুষের জন্য শুকনো খাবার ও ত্রাণ বিতরণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ইতিমধ্যে অনেক পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

তিস্তা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close