• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

জমে থাকা বন্যার পানিতে টাঙ্গাইলে বোরো আবাদে অনিশ্চয়তা

প্রকাশ:  ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৪:৪০
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

বন্যার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় টাঙ্গাইল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে ১০০ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গত মৌসুমে রোপা আমন ও এ মৌসুমে সরিষার আবাদও করতে পারেননি সেখানকার কৃষকরা।

এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে চাষাবাদ। চাষিদের দাবি, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার পাশাপাশি স্থায়ী কালভার্ট নির্মাণ করতে হবে।

স্থানীয়রা জানান, এর আগে ওই অঞ্চলের বন্যার পানি পাইপের মাধ্যমে বের করা হতো। গত ২৬ জুন বন্যার পানির প্রবল স্রোতে পুলিশ লাইন্স-ধরেরবাড়ি এলাকায় সড়ক ভেঙে যায়। এতে টাঙ্গাইল শহরের সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সড়ক যোগাযোগ সচল করতে পৌরসভা ভাঙা সড়কে মাটি ভরাট করে। ওই স্থানে কোনো কালভার্টও নেই। ফলে সড়কের উত্তর পাশের পানি সরে যেতে পারছে না। এতে রোপা আমন মৌসুম ও চলতি সরিষা মৌসুমে চাষাবাদ ব্যহত হয়। আগামী বোরো মৌসুমেও ১০০ বিঘা জমির চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এনায়েতপুর এলাকার চান মিয়া ও সফিজ উদ্দিন বলেন, বন্যার পর বিভিন্ন অঞ্চলের পানি সরে গেলেও কোনো কালভার্ট না থাকায় ওই অঞ্চলের পানি সরে যেতে পারেনি। এতে করে আমন ধান ও সরিষার চাষ করা সম্ভব হয়নি। আগামী বোরো চাষ নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। দ্রুত কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “গত বন্যায় রাস্তাটি ভেঙে গেলে যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয়ভাবে মাটি ভরাট করে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। তবে বন্যার পানি সরে না যাওয়ায় বেশ কিছু জমিতে ফসল ফলানো যাচ্ছে না বলে জানতে পেরেছি। রাস্তাটি স্থানীয় সরকার বিভাগের। জলাবদ্ধতা দূর করতে দ্রুত কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।”

টাঙ্গাইল,বন্যা,কৃষক

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close