সিলেটে বিএনপির ২ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
সিলেট মহানগরীতে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল হত্যাকাণ্ডের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় দলটির ২৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য জাহিদ সারওয়ার। মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কারো নামোল্লেখ না করে ২০০-২৫০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির ২৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার আগেই চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার দিনে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এখন এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী জাহিদ সারোয়ার বলেন, বিএনপির একটি মিছিল থেকে রোববার রাতে নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করা হয়। এতে আমরা সবাই ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।
তবে ভাঙচুরকারীদের চিনতে না পারায় এজাহারে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি বলে জানান তিনি।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, যারা ভাঙচুর করেছেন, তাদের সবাইকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
তবে হয়রানির জন্যই এই মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি বলেন, কামাল হত্যার পর নগরে যেসব ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গে বিএনপির কেউ জড়িত নয়। দলের নেতা মারা যাওয়ায় দলের সবাই মর্মাহত। কেবল হয়রানির জন্য এই মামলা করা হয়েছে।
রোববার রাত ৯টার দিকে সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল খুন হন। এ সময় ১টি মোটরসাইকেলে তিন যুবক তাকে পেছন থেকে অনুসরণ করে আসছিলেন। সামনের মোটরসাইকেলে থাকা দুই যুবক বড়বাজার ১১৮ নং বাসার সামেন প্রাইভেট কারের গতিরোধ করেন। পরে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা কামালকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাতে নিহতের বড় ভাই ময়নুল হক বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছাত্রলীগ কর্মী আজিজুর রহমান সম্রাটকে প্রধান করে ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় কুটি মিয়া নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মিডিয়া সুদীপ দাস বলেন, গ্রেপ্তার কুটি মিয়া মামলার ৫ নম্বর আসামি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম